টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ প্রধান শিক্ষক


School




সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-


স্কুলের উন্নয়ন খাতের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠলো প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রবীর কুমার কুণ্ডু।প্রধান শিক্ষকের দূর্নীতির বিরুদ্ধে ইতি মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন পাশ্ব শিক্ষকরা।




2016 সালে কাঞ্চন নগর ডি এন দাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ভাড় গ্রহণ করেন প্রবীর কুমার কুণ্ড।2016 সালের পর থেকে স্কুল উন্নয়ন ফান্ডে টাকা আসতে শুরু করে।অভিযোগ 2016য়সালের পর থেকে স্কুলের কোনো উন্নয়ন করা হয়নি।এমন কি উন্নয়ন ফান্ডের টাকা কোন কোন খাতে ব্যায় করা হয়েছে তারও কোনো তালিকা প্রকাশ করেন না প্রধান শিক্ষক।স্কুলের পাশ্ব শিক্ষকদের নিয়েও কোন আলোচনা করেন নি বলে অভিযোগ পাশ্ব শিক্ষকদের।মিডডে মিলের রাঁধুনি ও মুদি দোকানের টাকা না মিটানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী।পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক শুধে টাকা নিয়ে পরিশোধ না করায় শুধ খোরদের অত্যাচারে স্কুলের পঠনপাঠনের ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পাশ্ব শিক্ষকরা।স্কুলের পঠনপাঠনের সার্থে প্রধান শিক্ষক প্রবীর কুমার কুন্ডুকে




বদলির দাবী জানিয়েছেন তারা। পাশ্ব শিক্ষক শেখর অধিকারী বলেন 2019 - 20 অর্থ বর্ষে স্কুল উন্নয়ন ফান্ডে যে টাকা এসেছে তার কোন খরচ না করে নিজের হেফাজতে রেখে দিয়েছে।সেই টাকার কোনো হিসেব দিচ্ছেনা।এই বিষয়ে বেশ কয়েক বার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে জানানো হয়েছে ।তাতেও কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।এছাড়া নিজের প্রয়োজনে বিধায়কের দাদা সহ একাধিক ব্যাক্তির কাছে থেকে টাকা শুধে নিয়ে সেই টাকা পরিশোধ না করায়, তারা স্কুলে এসে হুজ্জতি করেন, ফলে স্কুলের পঠনপাঠন ব্যহত হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।




একই অভিযোগ করেন সহ শিক্ষিকা রুকসার নীহার ।তিনি আরো বলেন একজন শিক্ষককেও পরিচালনা করার ক্ষমতা হারিয়েছন প্রধান শিক্ষক।এই রকম পরিবেশ আমরা চাইনা।




মিডডে মিলের রাঁধুনি দের মাসের বেতন না দেওয়ায় পাশাপাশি তাদের পরিবারের লোকেদের কাছ থেকেও টাকা শুধে নিয়েছেন বলে জানান পারুল দাস।





মুদি ব্যবসায়ী অনিল মন্ডল বলেন স্কুলের মিডডে মিলের খরচ বাবদ প্রায় 18 হাজার টাকা বাকী আছে। আজ দেবো কাল দেবো বলে ঘুড়িয়ে চলেছেন ।এই বিষয়ে স্কুলের সকল শিক্ষকরা জানেন।টাকা পরিশোধ না করলে আগামী দিনে মাল দেওয়া বন্ধের হুমকি দেন ব্যবসায়ী।




সম্পূর্ণ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রধান শিক্ষক প্রবীর কুন্ডু বলেন অডিট রিপোর্ট দেখলেই জানতে পারবেন।স্কুলের লোহার আলমারির, তাক, বিদ্যুতের কাজ,স্কুল রং করা,মিডডে মিলের চালা তৈরি সহ একাধিক উন্নয়ন করা হয়েছে।উন্নয়ন খাতের জন্য টাকা তেমন কিছু আসে না বলে জানান প্রাধান শিক্ষক।




প্রাইমারী শিক্ষা সংসদে চেয়ারম্যান মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন অভিযোগ পেয়েছি এস আই কে বলা হয়েছে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে।রিপোর্ট পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্কুলের পঠনপাঠন যাতে ব্যহত না ঘটে সেবিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন চেয়ারম্যান।