This one habit can shorten your life by 10 years

This one habit can shorten your life by 10 years
This one habit can shorten your life by 10 years



আমাদের লাইফস্টাইল, ডায়েট এবং অভ্যাস সরাসরি আমাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। জীবনযাত্রার ব্যাঘাত অনেক রোগের ঝুঁকিকে উন্নীত করতে পারে, যে কারণে সমস্ত লোককে এটির প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়, দেশের কোটি কোটি মানুষ জীবনযাপন সংক্রান্ত নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। এমন অনেক অভ্যাস আপনার আয়ুও কমিয়ে দেয়। ধূমপান এমনই একটি ক্ষতিকর অভ্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে ধূমপায়ীদের আয়ু অধূমপায়ীদের তুলনায় 10 বছর কম।




স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ধূমপানের অভ্যাসকে অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান কারণ বলে মনে করেন। এর ফলে এমন রোগ হতে পারে যা অকাল মৃত্যুর কারণ হিসেবে পরিচিত। ক্যান্সার এবং ফুসফুসের রোগের জন্য ধূমপানকে একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ হিসেবে দেখা হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমরা যদি শুধু এই একটি অভ্যাস থেকে পরিত্রাণ পাই, তাহলে শুধু অকালমৃত্যুর ঝুঁকিই কমানো যাবে না, জীবনযাত্রার মান ভালো রাখতেও সাহায্য করা যাবে।



ফুসফুসের ক্যান্সার অন্য যেকোনো ধরনের ক্যান্সারের চেয়ে বেশি মানুষকে হত্যা করে। ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়। ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রায় 90 শতাংশ ক্ষেত্রে ধূমপান দায়ী বলে মনে করা হয়। পরিসংখ্যান দেখায় যে ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর পাঁচজনের মধ্যে একজন রোগীর পাঁচ বছর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ধূমপান থেকে দূরে থাকলে এই মারাত্মক রোগ এড়ানো যায়।




ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) এর কেস গত এক দশক ধরে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর জন্যও ধূমপানকে প্রধান ঝুঁকির কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সিওপিডি একটি বাধা ফুসফুসের রোগ যা শ্বাস নিতে কষ্ট করে। এটি গুরুতর দীর্ঘমেয়াদী অক্ষমতা এবং মৃত্যু ঘটায়। প্রায় 85 থেকে 90 শতাংশ সিওপিডি ক্ষেত্রে সিগারেট ধূমপানের কারণে ঘটে। এই রোগটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ।




ধূমপান আপনার হার্ট সহ আপনার শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধূমপান আপনার  হৃৎপিণ্ডে রক্ত ​​এবং অক্সিজেনের প্রবাহকে হ্রাস করে। এই অবস্থা হার্ট অ্যাটাকের মতো মারাত্মক জীবন-হুমকির সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা যায়।