The Delhi-NCR has been identified as the second highest seismic hazard zone (Zone IV)


জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লিতে সাম্প্রতিক বেশ কয়েকবার ভূমিকম্পের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ওয়াদিয়া ইন্সটিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের ভূকম্প অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু, সমগ্র অঞ্চলের ওপর যে অস্বাভাবিক চাপ পড়ছে, এটি তার একটি ইঙ্গিত মাত্র।

প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু ভূকম্প সম্পর্কিত সিসমিক নেটওয়ার্ক এই অঞ্চলে যথেষ্ট ভালো তাই, ক্ষুদ্র ও স্বল্প তীব্রতার ভূকম্পগুলিও এতে ধরা পড়ে ।

প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, কখন, কোথায় এবং কি তীব্রতায় ভূকম্প হবে, তা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়, কিন্তু বিশেষ একটি এলাকা ভূকম্পন প্রবণ কিনা তা অতীতের ভূকম্পনগুলি বিশ্লেষণ করে জানা যেতে পারে। জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লিকে ভূমিকম্প ঝুঁকিপ্রবণ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই এ ধরনের এলাকায় প্রায়শই ছোট ও মাঝারি তীব্রতার ভূমিকম্প হতে পারে। তবে, ছোট ও মাঝারি তীব্রতার ভূমিকম্প বড় কোনও দুর্ঘটনার ইঙ্গিত বহন না করলেও যে কোনও সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প হতেই পারে। যেহেতু, ভূ-কম্পনের আগাম আভাস পাওয়ার কোনও যন্ত্র বা পদ্ধতি নেই, তাই ভূকম্পনকে বড় কোনও দুর্ঘটনার আভাস হিসাবে বিবেচনা করা ঠিক নয়।

জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির ইতিহাস খুঁজলে দেখা যাবে, ১৭২০ সালে ৬.৫ তীব্রতা, ১৮০৩ সালে মথুরায় ৬.৮ তীব্রতা, ১৮৪২ সালে মথুরার নিকটবর্তী এলাকায় ৫.৫ তীব্রতা, ১৯৫৬ সালে বুন্দেল শহরে ৬.৭ তীব্রতা, ১৯৬০ সালে ফরিদাবাদে ৬.০ তীব্রতা এবং ১৯৬৬ সালে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লিতে ৫.৮ তীব্রতার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়। 

সংশ্লিষ্ট এলাকাইয় ভূ-পৃষ্ঠের ওপর অত্যাধিক চাপ এবং তার প্রভাব-স্বরূপ ভূ-গর্ভস্থ ভারতীয় প্লেটের উত্তর অভিমুখে সরে যাওয়া এবং এর দরুণ ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলেই এই অঞ্চলে ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। এছাড়াও, জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি হিমালয়ান আর্ক থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে। তাই, হিমালয়ান ভূকম্পন-প্রবণ এলাকায় কোনও ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটলে তার প্রভাব দিল্লিতে পড়তে পারে।


credit:pib