সুরশ্রী রায় চৌধুরীঃ 

বিশ্বমহামারী করোনা প্রতিরোধে ভারতের কেরল নজির গড়েছিল।  অনবদ্য কাজ করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা। তাই বিশ্ব জনসেবা দিবসে তাঁকে সম্মান জানাল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। শুধু তাই নয় করোনা মোকাবিলায় তাঁর ভূমিকার জন্য তাঁকে পুরষ্কৃতও করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এমনকি রাষ্ট্রসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক স্তরে কোভিড লড়াই নিয়ে প্যানেলে বক্তা হিসেবেও গিয়েছিলেন কেরলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী।

মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের স্বাস্থ্য মন্ত্রীরাও করোনা রোখায় কেকে শৈলজার উপদেশ নিয়েছেন। তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্মান পাওয়ার পর তাঁর প্রশংসার ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়। টুইটারে তাঁকে "ভারতের নতুন মুখ" কিংবা "কেরলের গর্ব" বলে অভিহিত করছেন নেটিজেনরা।

কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্তর খোঁজ মেলে ৩১ জানুয়ারি। উহান ফেরত এক ব্যক্তির মাধ্যমে শুরু হয় সংক্রমণ। মার্চ মাসে কেরল ও মহারাষ্ট্র সংক্রমণ শীর্ষে ওঠে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নিপুন দক্ষতায় এপ্রিলের মাঝখান থেকে করোনার প্রকোপ কমতে শুরু হয় কেরলে। দ্রুত করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা, বাড়ি বাড়ি সার্ভে ও কঠোর নিয়মবিধির মাধ্যমেই করোনাকে হারাতে সক্ষম হয়েছে কেরল। আর এই যুদ্ধে সব সময় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে এক হয়ে লড়েছেন শৈলজা। করোনা প্রতিরোধে কেরল হয়ে উঠেছে মডেল রাজ্য। এমনকি কঠিন পরিস্থিতেও নার্সদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সাহস জুগিয়ে গিয়েছেন তিনি। প্রত্যেক বছর ২৩ জুন জনসেবা দিবস উপলক্ষে ইউএন পাবলিক সার্ভিস এওয়ার্ড পান কয়েক জন। এবার কোভিড লড়াইয়ে অসামান্য কাজের জন্য সেই সম্মান পেলেন কেরলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কেকে শৈলজা।