Hero Alom : হেরে গিয়েও অনেকের মন জিতে নিলেন হিরো আলম 

hero alom



বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে হেরে গেছেন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বগুড়া-৪ আসনে মাত্র ৯৫১ ভোটে হেরেছেন হিরো আলম। তবে হেরে গিয়েও অনেকের মন জিতে নিলেন হিরো আলম। 

যদিও এই ফলাফল মেনে নিতে পারেননি হিরো আলম, আজ রাত্রে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছেন তিনি। জানিয়েছেন- "আজ রাত ১০:৩০ মিনিটে সাংবাদিক সম্মেলন করবো আমার নিজ বাসায় । আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে, আমি এই ফলাফল মানি না" 

হিরো আলম মোট ভোট পেয়েছেন ১৯,৪৮৬, আর রেজাউল পেয়েছেন ২০৪৩৭ টি ভোট। স্থানীয় সংবাদসূত্রে জানাগিয়েছে বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে আজ ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।


বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপনির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

man with ektara

বগুড়া-৪ আসন ছাড়াও বগুড়া সদর উপজেলা তথা বগুড়া-৬ আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে অংশ নেন হিরো আলম। সেই আসনে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। বগুড়া-৬ আসনে তিনি ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৪০। এ আসনে রাগিবুল আহসান রিপু নৌকা প্রতীকে ৩৩ হাজার ৪৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

বগুড়া সদর ও নন্দীগ্রাম-কাহালু আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচিত ব্যক্তি আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।


প্রথম আলোর সংবাদে প্রকাশ- বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হিরো আলম বলেন, ‘সদরের (বগুড়-৬ আসনের) কেন্দ্র সব দখল হয়্যা গ্যাচে। ডিসি-এসপিক কয়্যাও কোনো কাম হচ্চে না। সদরের আশা সব শ্যাষ।’

তবে বগুড়া-৪ আসনে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হচ্ছে জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘কাহালু-নন্দীগামের অনেক কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেকচি। ভোট খুব সুষ্ঠু হচ্চে। মাঠের অবস্থা খুবই ভালো। কাহালু-নন্দীগ্রামের নিশ্চিত এমপি হচ্চি।’


বগুড়া-৪ অর্থাৎ নন্দীগ্রাম-কাহালু আসনের কালিশ পুনাইল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ফলাফল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে, সেখানে দেখা গেছে হিরো আলম ২১০ ভোট পেয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদের তানসেন। তানসেন পেয়েছেন ১২৮ ভোট।


গত বছরের ১০ ডিসেম্বর দলীয় সিদ্ধান্তে বিএনপির সাংসদগণ পদত্যাগ করায় বগুড়ার দুটি আসন শূন্য হয়ে পড়ে। এই শূন্য আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর থেকেই আলোচিত হয়ে আসছিলেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।

নানান বিতর্ক সত্যেই নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি হিরো আলম। তার এই লড়াকু মানসিকতা অনেকের মন জয় করে নিয়েছে। স্যোসাল মিডিয়ায় হিরো আলমের এই লড়াইকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেক শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ।