WB School : আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি ! খুলবে না বিদ্যালয় , তীব্র বিতর্ক ছুটি নিয়ে

Breaking :  গরমের ছুটি নিয়ে তীব্র বিতর্ক 




গরমের জন্য ১৫ জুন পর্যন্ত বিদ্যালয় ছুটির (summer vacation) ঘোষণা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই শিক্ষাদপ্তর ছুটি ঘোষণা করে। আগামী ১৬ জুন থেকে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন শুরু হওয়ার কথা। তবে আবারও ছুটি (summer vacation) বৃদ্ধি । আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বলে শিক্ষাদপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আজ।






একাধিক সংবাদপত্রে প্রকাশ, রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে দণ্ড মহোৎসবে প্রচণ্ড গরমে প্রাণহানি এবং অনেকের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী স্কুলের বাচ্চাদের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, এমন ভয়াবহ গরম চলতে থাকলে স্কুলপড়ুয়ারা খুবই অসুবিধায় পড়বে। তার পরেই তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেন।




উত্তরবঙ্গে যদিও লাগাতার বৃষ্টি চলছে, তবে দক্ষিণবঙ্গে এখনো বর্ষা প্রবেশ করেনি। যার ফলে বিদ্যালয় খুলে গেলে ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সাথে এই বিষয়ে (summer vacation) কথা বলবার পরেই এই সিদ্ধান্ত।


তবে এই ছুটি ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক । বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন পুনরায় বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণার প্রতিবাদ করেছেন।


শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেছেন-

"শিক্ষাকে তিলে তিলে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা আজ আর গোপন নয়, প্রমানিত সত্য। শিক্ষা শেষ মানে সবই শেষ! অপরিকল্পিতভাবে গত প্রায় দেড় মাস বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আবার সেই ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হল। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বাঁচার ইতিহাসটাও প্রমাণিত সত্য। বছরের পর বছর, মাসের-পর-মাস এইভাবে শিক্ষার দ্বার রুদ্ধ করে দিয়ে মানুষের উন্নত চেতনার স্তর গড়ে ওঠার প্রক্রিয়াটাকে স্তব্ধ করে দেওয়ার এই পরিকল্পনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদে নামতেই হবে। সমস্ত অভিভাবকসহ যৌথভাবে সমস্ত সংগঠনকে প্রতিবাদে নামার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।"


মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি(STEA)'র সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন-

'বর্তমান শিক্ষাবর্ষে ৭ ই ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল ও মাদ্রাসা খুলল। এসে পড়ল কর্পোরেশন ও পৌরসভার নির্বাচন। শুরু হল মাধ্যমিক বা সমতুল এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষা। দু'বছরের করোনা জনিত শিক্ষা খরা কাটিয়ে সবে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষার মূল স্রোতে ফিরে আসার প্রাণপণ চেষ্টা করছিল। দাবদাহের অজুহাতে টানা ৪৫ দিনের ছুটি ঘোষণা হয়ে গেল। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূল থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্য করা হলো শিক্ষার অধিকার পাওয়া ও উপভোগ করা থেকে। জেলায় জেলায় আমাদের সমিতির বিক্ষোভে কর্ণপাত না করা অগণতান্ত্রিকতার লক্ষণ। আবার দ্বিতীয় দফায় ২৬ শে জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা শিক্ষা কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি। প্রকারান্তরে বেসরকারিকরণই সরকারের মূল অভিসন্ধি বলেই আমাদের আশঙ্কা।'

Read More: 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ