কোন শিক্ষকদের চাকরী বাতিল করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় !
কলকাতা হাইকোর্ট এবার প্রাথমিক টেট ২০১৪ (Primary TET 2014) দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই নির্দেশ দেন। এখনো ২৬৯ জনের নামের সম্পূর্ণ লিস্ট সামনে না এলেও কিছু কিছু জেলার লিস্ট স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে ।
কোচবিহার থেকে ২৬৯ জনের মধ্যে রয়েছেন ৩২ জন, নদীয়া জেলা থেকে ১৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরে ৪০ জন। বর্ধমানে ১৭ জন । ২৬৯ জনের মধ্যে শুধু হুগলি জেলাতেই চাকরি যাচ্ছে ৬৮ প্রাথমিক শিক্ষকের। বাঁকুড়াতে ১১ জন, আলিপুরদুয়ারে ১ জন।
সম্পূর্ণ নামের তালিকা আসছে, পেজটি রিফ্রেশ করুন ... অথবা আমাদের চ্যানেলটি ফলো করুন- follow
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন জানান, প্রাথমিকে ২০১৭ সালে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা সম্পূর্ণ বেআইনি (Primary TET 2014) । প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য এবং সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে সোমবারই বিকেল ৫ টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজির হতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাজিরা না দিলে সিবিআইকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছে আদালত। ওই দুজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেও তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন বিচারপতি।
আদালত জানিয়েছে-
এক) ২০১৭ সালে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা বেআইনি
দুই) দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকার ২৬৯ জনের নিয়োগ বেআইনি, তাই সিবিআই তদন্ত
তিন) ২৬৯ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
চার) ২৬৯ জনের স্কুলে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা কলকাতা হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিবিআই পরীক্ষা না দিয়ে কেবল সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরির বড় চক্রের হদিশ পেয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, একজন ভুয়ো চাকরি প্রাপক যিনি সাদা খাতা (Primary TET 2014) জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁর একজন নিকট আত্মীয় সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে যান। সিবিআইয়ের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করেন। তাঁর স্বাক্ষরও নেয় সিবিআই। সেখানে চন্দন মন্ডলের নাম উঠে আসে।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks