দিনহাটার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ, সাংবিধানিক কাঠামোর ধ্বংসের অভিযোগ তুলে বিরোধীদের একজোট হওয়ার বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এনআরসির জালে দিনহাটার এক বাসিন্দা। বংশ- পরম্পরায় দিনহাটায় থাকলেও ৫০ বছর বয়সেও কোচবিহারের বাইরে যাননি অথচ আসাম সরকারের পক্ষ থেকে দিনহাটার চৌধুরীহাটের সাদিয়ালের কুঠির উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে পাঠানো হয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশের নোটিশ। চলতি মাসের ১৫ই জুলাই এর মধ্যে উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তাকে অনুপ্রবেশকারি হিসাবে চিহ্নিত করা হবে বলেও উত্তমের কাছে পাঠানো নোটিশে উল্লেখ রয়েছে। এবার এবিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি হতবাক ও অত্যন্ত বিচলিত হয়েছি জেনে যে, কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা রাজবংশী সম্প্রদায়ের উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে অসমের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল, এনআরসি নোটিশ জারি করেছে। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই বাংলার বাসিন্দা। তাঁর বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও, তাঁকে "বিদেশি/অবৈধ অনুপ্রবেশকারী" সন্দেহে হয়রানি করা হচ্ছে।"
তিনি আরো বলেন, "এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটিই প্রমাণ করে যে অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যেখানে তাদের কোনো ক্ষমতা বা অধিকার নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভয় দেখানো, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া এবং নিশানা করার একটি পূর্বপরিকল্পিত নোংরা চক্রান্ত চলছে। এই অসাংবিধানিক আগ্রাসন জনবিরোধী এবং এটি বিজেপির বিপজ্জনক ষড়যন্ত্রকে দিনের আলোর মত স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, গণতান্ত্রিক সুরক্ষাকে ধ্বংস করে বাংলার মানুষের পরিচয় মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।"
পাশাপাশি তিনি বলেন, "এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সমস্ত বিরোধী দলগুলির একজোট হওয়া এবং বিজেপির বিভাজনমূলক ও দমন পীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি। ভারতবর্ষের সাংবিধানিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হলে, বাংলা চুপ করে থাকবে না।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊