রামদেবের দাবি করা পতঞ্জলির করোনা ওষুধ নিয়ে বহাল বিতর্ক। গত মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে করোনার ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে দাবি করেন রামদেব ও তাঁর সহযোগী পতঞ্জলির সিইও বালকৃষ্ণ। এরপরেই কেন্দ্রীয় আয়ুষমন্ত্রক বিজ্ঞাপন প্রচার ওষুধ বিক্রিতে "না" করে তথ্য চেয়ে পাঠায়।
এদিকে, উত্তরাখণ্ড সরকার জানায়, করোনার ওষুধ আবিষ্কারের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। শুধু জ্বর, সর্দি- কাশি, ইমিউনিটি বুস্টার তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে নোটিসও পাঠিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। অন্যদিকে, রাজস্থান ও মহারাষ্ট্র সরকার করোনার ওষুধ বলে দাবি করা করোনিল বিক্রি ও প্রচারে 'না' করে। এরপরেও জয়পুরের এক হাসপাতালে এর পরীক্ষা মূলক ট্রায়াল চলছে বলে জানার পর হাসপাতালকে নোটিসও পাঠিয়েছে রাজস্থান সরকার।
এবার রাজস্থানের জয়পুরে রামদেব, পতঞ্জলির সিইও আচার্য বালকৃষ্ণ ও আরও চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। অভিযোগ করা হয়েছে যে, করোনা সংক্রমণ থেকে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের ওষুধ 'করোনিল' সুস্থ করে তুলবে বলে প্রচার করে মানুষকে ভুলপথে চালিত করা হচ্ছে।শুক্রবার জয়পুরের জ্যোতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জ্যোতিনগর থানার এসএইচও সুধীর কুমার উপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'বাবা রামদেব, আচার্য বালকৃষ্ণ, বলবীর সিংহ তোমর, অনুরাগ তোমর ও পতঞ্জলির এক বিজ্ঞানী অনুরাগ ভার্শনির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে'।
করোনিল নিয়ে অপপ্রচারের মামলায় এফআইআর দায়ের করেছেন বলরাম ঝাকর। তিনি বলেছেন, করোনিল নিয়ে ভুল প্রচারের জন্য রামদেব সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ৪২০ (প্রতারণা) সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এই এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে।
এর আগে বিহারের একটি আদালতে রামদেব ও বালকৃষ্ণর বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এতে অভিযোগ করা হয় যে, করোনা চিকিত্সার ওষুধ তাঁরা তৈরি করেছেন, এই দাবি করে তাঁরা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন এবং ভুল পথে চালিত করছেন।
আদালত এই মামলার শুনানির দিন ৩০ জুন ধার্য করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks