গত মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে যোগগুরু রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি করোনার ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করেন। তাঁরা জানিয়েছিল আয়ুর্বেদ ‘‌করোনিল’‌ এবং ‘‌স্বসরী’‌ নামে করোনাভাইরাস নিরাময়ের ওষুধ। এই দাবি করেই বিপাকে রামদেব। নোটিস ধরালো উত্তরাখণ্ড সরকার।  

বুধবার উত্তরাখন্ড সরকার ১৯৪০ সালের ওষুধ এবং প্রসাধনী আইনের ১৭০ ধারায় পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ কোম্পানিকে নোটিস পাঠিয়েছে। নোটিসে করোনাভাইরাস নিরাময়ের উপায় হিসেবে ওই ওষুধের বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে বলা হয়েছে।কী ধরণের লঙ্ঘন হয়েছে তা আমরা যাচাই করব এবং সে অনুযায়ী একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করব। যদি লঙ্ঘন সত্য বলে প্রমাণিত হয় তবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানান আনন্দ স্বরূপ, ডিরেক্টর, আয়ুর্বেদ ও ইউনানি সার্ভিস, উত্তরাখণ্ড।

উত্তরাখন্ড আয়ুর্বেদ দপ্তরের লাইসেন্স অফিসার ওয়াইএস রাওয়াত জানিয়েছেন, '‌পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের লাইসেন্স আছে শুধু সর্দি-কাশি-জ্বর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দু-তিন রকমের ওষুধ তৈরির। তাদের জমা দেওয়া আবেদনে কোথাও করোনাভাইরাসের চিকিত্‍সার কথা উল্লেখ করা নেই।'‌ রাওয়াত বললেন, গত ১০ তারিখ সর্দি-কাশি-জ্বর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ তৈরির আবেদন করে পতঞ্জলি আবেদন জমা দিয়েছিল রাজ্য সরকারের আয়ুর্বেদ দপ্তরে। দুদিন বাদে তা মঞ্জুর হয়েছিল। খুব শীঘ্রই এনিয়ে কোনও সন্তোষজনক মন্তব্য না পেলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। 

এদিকে, বিহারের মুজাফ্‌ফরপুর জেলার এক ব্যক্তি রামদেব এবং তাঁর কোম্পানির সিইও আচার্য বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। কোভিড-১৯-এর নিরাময়ের দাবি করে কয়েক হাজার মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছেন রামদেব এবং বালকৃষ্ণ এই মর্মেই আদালতে পিটিশন দাখিল করেন তিনি। ওই আবেদনের শুনানি আগামী ৩০ তারিখ।

গতকাল আচার্য বালকৃষ্ণ পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সহ প্রতিষ্ঠাতা যোগপীঠ, হরিদ্বার করোনিলের লাইসেন্স এবং ক্লিনিকাল ট্রায়াল সংক্রান্ত কেন্দ্রের কাছে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি জমা দেওয়ার দাবি করেছিলেন। তিনি দাবি করেছেন যে এই সমস্যাটির "যোগাযোগের ব্যবধান" সমাধান হয়ে গেছে।