মঙ্গলবার রামদেব তাঁর সহযোগী বালকৃষ্ণকে সাথে নিয়ে করোনার ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে বলে দাবি করে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সাংবাদিক বৈঠকে যোগগুরু রামদেব দাবি করেন কোভিড-১৯ মাত্র সাতদিনে ১০০ শতাংশ পুরোপুরি সারিয়ে তোলে এই ওষুধ। রামদেবের আনা ওষুধ ‘করোনিল’ ঘিরে বিতর্ক বহাল রয়েছে। রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র সহ বেশ কিছু রাজ্য এই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান।

এদিকে, কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক এই ওষুধ আবিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সকল নথি দেখতে চেয়েছে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে,কোভিড চিকিত্সার জন্য যে ওষুধের দাবি করা হয়েছে, তার কম্পোজিশন ও উপাদানের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডকে।

তবে, উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফেও জানানো হয়েছে করোনার কোনও ওষুধ তৈরির বা মানব দেহে প্রয়োগের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়নি। আর তাই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

উত্তরাখন্ড আয়ুর্বেদ দপ্তরের লাইসেন্স অফিসার ওয়াইএস রাওয়াত জানিয়েছেন, '‌পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের লাইসেন্স আছে শুধু সর্দি-কাশি-জ্বর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দু-তিন রকমের ওষুধ তৈরির। তাদের জমা দেওয়া আবেদনে কোথাও করোনাভাইরাসের চিকিত্‍সার কথা উল্লেখ করা নেই।'‌ রাওয়াত বললেন, গত ১০ তারিখ সর্দি-কাশি-জ্বর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ তৈরির আবেদন করে পতঞ্জলি আবেদন জমা দিয়েছিল রাজ্য সরকারের আয়ুর্বেদ দপ্তরে। দুদিন বাদে তা মঞ্জুর হয়েছিল। খুব শীঘ্রই এনিয়ে কোনও সন্তোষজনক মন্তব্য না পেলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। 

এদিকে, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ সরাসরি রামদেবকে সতর্ক করে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ক্ষতিকর ওষুধ বিক্রি করতে দেবেন না। পতঞ্জলির করোনিল-এর ক্লিনিকাল পরীক্ষা আদৌ হয়েছিল কিনা, জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস খতিয়ে দেখবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

রাজস্থানের স্বাস্থ্য়মন্ত্রী রঘু শর্মাও বৈধ নিয়মপদ্ধতি ছাড়া করোনাভাইরাস সারানোর দাবি করে যে কোনও ওষুধের প্রচার, অনুমোদনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।পাশাপাশি তিনি রাজ্যের কোথাও করোনিল বিক্রির খবর পেলেই আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও সাবধান করেছেন।