২০২৩ এর মধ্যে ১ কোটি ভারতীয় ডায়াবেটিক রোগীকে ক্ষমতা দিতে ইন্ডিয়ান ডায়বেটিস রিসার্চ সোসাইটি (RSSDI) -র সাথে মউ স্বাক্ষর করল AstraZeneca



  • · ভারতে ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি। দ্রুত রোগ নির্ধারণ এবং চিকিৎসার জন্য সচেতনতা তৈরি করা দরকার, গবেষণা ভিত্তিক প্রয়াসও প্রয়োজন। তা করা গেলে অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে। 



২৬শে নভেম্বর ২০২০, ব্যাঙ্গালোর, ভারত: অগ্রগণ্য বিজ্ঞানভিত্তিক বায়োফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইন্ডিয়া (অ্যাস্ট্রাজেনেকা ফার্মা ইন্ডিয়া লিমিটেড) আজ রিসার্চ সোসাইটি ফর স্টাডি অফ ডায়বেটিস ইন ইন্ডিয়া (আর এস এস ডি আই)-র সাথে একটি মেমোর‍্যান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং স্বাক্ষর করল। এই মউয়ের লক্ষ মানুষের মধ্যে ডায়বেটিস সম্বন্ধে সচেতনতা তৈরি করা এবং সেই প্রয়াসকে ডিজিটাল মাধ্যমে নিয়ে আসা, যাতে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ফলে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হয় সেগুলো আটকানো যায়। 



আর এস এস ডি আই এশিয়ার ডায়বেটিস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার সাথে যুক্ত পেশাদার ও গবেষকদের বৃহত্তম সংগঠন। এর সদস্য সংখ্যা ৬০০০ এর আশেপাশে। তার মধ্যে আছেন ডাক্তার, ডায়াবেটোলজিস্ট, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট আর প্যারামেডিকাল কর্মীরাও। এই সংগঠন ডায়াবেটিসের বিস্তারিত গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, আবার ভারতে ডায়বেটিস সম্বন্ধে মানুষকে শিক্ষিত করার উদ্যোগগুলো চালিয়ে যাওয়ার কাজেও সহায়ক হয়েছে। এই দ্বৈত ভূমিকার প্রধান কাজ হিসাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা একটি ক্যাম্পেন চালু করেছে, যার নাম --- ‘বিয়ন্ড সুগার’। এটি একটি তিন বছরের রোগী সচেতনতা কর্মসূচী, যা তৈরি করা হয়েছে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ১ কোটির বেশি ডায়বেটিস রোগীর সুবিধার্থে। এই উদ্যোগের ফলে রোগীরা/পরিচর্যাকারীরা ডায়বেটিস নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন এবং রোগটা কিভাবে সামলানো যায় সে ব্যাপারে অনেকটা জেনে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। 



ইন্টারন্যাশনাল ডায়বেটিস ফাউন্ডেশন অ্যাটলাস অন ডায়াবেটিসে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতি ১১ জন মানুষে ১ জনের ডায়বেটিস আছে। আর ভারতে ২০৩০ এর মধ্যে ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা হবে প্রায় ১১.৫ কোটি। সাধারণভাবে জনসংখ্যার ১০% থেকে ১৫% এর ডায়বেটিস রয়েছে, তবে একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে হার্ট ফেলিওর (এইচ এফ)-এর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৪৪% এর টাইপ ২ ডায়বেটিস রয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় ডায়বেটিস আর এইচ এফ এর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। ভারতে এইচ এফ এক বড় সমস্যা। হাসপাতালে ভর্তি করার পর এইচ এফ রোগীদের মৃত্যুর হার ২০%-৩০%। দীর্ঘমেয়াদি কিডনির অসুখেও বেশ কিছু রোগীর মৃত্যু হয় এবং হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সুতরাং ভারতে এইচ এফ আর সি কে ডি র ঘটনা কমাতে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণ জরুরি। 



ডঃ অনিল কুকরেজা, ভাইস প্রেসিডেন্ট – মেডিকাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড রেগুলেটরি, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইন্ডিয়া, বললেন “অ্যাস্ট্রাজেনেকা বরাবর অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে রোগীকেন্দ্রিক সমাধান জোগানোর ক্ষেত্রে সামনের সারিতে থেকেছে। এখন নানারকম থেরাপির ব্যবস্থা হয়েছে, অথচ সাধারণ মানুষের মধ্যে সে ব্যাপারে সচেতনতার স্তর তুলনামূলকভাবে নীচু। ফলে ডায়বেটিস অনিয়ন্ত্রিত থেকে যায় এবং সঙ্গে হৃদযন্ত্র আর কিডনির সমস্যার সৃষ্টি হয়। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও আর এস এস ডি আই এর জুটি রোগীকেন্দ্রিক ডিজিটাল সচেতনতা অভিযান চালাতে অনেকটা সাহায্য করবে। তাছাড়া ডায়বেটিস সম্বন্ধে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলোর সম্বন্ধে সচেতনতামূলক কর্মসূচী তৈরি করতেও সুবিধা হবে। ফলে রোগীরা শুরুতেই রোগ নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করতে পারবেন বা সমস্যাগুলো এড়াতে পারবেন।” 



ডঃ বংশী সাবু, প্রেসিডেন্ট – আর এস এস ডি আই অ্যান্ড অর্গানাইজিং চেয়ারম্যান ২০২০, বলেন “আর এস এস ডি আই আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই জুটি ডায়বেটিস ও সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলোর সম্বন্ধে সচেতনতার মাত্রা বাড়াবে। আমাদের লক্ষ আগামী তিন বছরে এই ডিজিটাল রোগীকেন্দ্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারতে ১ কোটি জীবনকে ছোঁয়া। কোভিডের যুগে এই ডিজিটাল উদ্যোগ রোগী/পরিচর্যাকারীদের ডায়বেটিস সম্বন্ধে ডাক্তারদের সাথে আরো ভাল করে কথাবার্তা বলতে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আরো জেনে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। সবকিছু মিলে টাইপ ২ ডায়বেটিসের ব্যবস্থাপনাকে গ্লুকোজকেন্দ্রিক পদ্ধতি থেকে সামগ্রিক এবং শুরু থেকেই কার্ডিও-রেনাল নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির দিকে নিয়ে যাবে।” 



ডঃ সঞ্জয় আগরওয়াল, সেক্রেটারি – আর এস এস ডি আই ২০২০, বলেন, “আর এস এস ডি আই এশিয়ার ডায়বেটিসের ডাক্তার আর গবেষকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন। আমরা অনবরত গবেষণা করে এবং নতুন ধরনের সমাধান জুগিয়ে ডায়বেটিসের রোগীদের উন্নততর অভিজ্ঞতা দেওয়ার ব্যাপারে সবসময় সজাগ। ‘বিয়ন্ড সুগার’ সেরকমই একটা রোগীকেন্দ্রিক উদ্যোগ। আমাদের রাজ্য শাখাগুলোর সঙ্গে মিলে এই উদ্যোগ সোশাল মিডিয়া আর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে ব্যবহার করে সচেতনতা তৈরির কাজ করবে। আমাদের লক্ষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাহায্যে রোগী, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য গোষ্ঠী এবং এইচ সি পি র সাথে যোগাযোগ করে ডায়বেটিস সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়ানো এবং ডায়বেটিস প্রতিরোধ করা সম্পর্কে আলোচনা শুরু করতে রোগীদের সাহায্য করা।” 


About AstraZeneca Pharma India Limited 

AstraZeneca is a global, science-led biopharmaceutical company that focuses on the discovery, development and commercialisation of prescription medicines, primarily for the treatment of diseases in three therapy areas - Oncology, Cardiovascular, Renal & Metabolism and Respiratory. AstraZeneca operates in over 100 countries, and its innovative medicines are used by millions of patients worldwide. 


AstraZeneca Pharma India Limited (AZPIL) was established in 1979 and is marking its 40th year of a long-standing commitment to patients in India. It is headquartered at Bengaluru, Karnataka. AstraZeneca India has a workforce of over 1400 employees across the country committed to deliver great medicines to patients through innovative science and global excellence in development and commercialisation. For more information, please visit: www.astrazeneca.com/india