দিনহাটায় চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ঘুষ  ধর্ষন কাণ্ডে অভিযুক্তের একমাত্র পথ সুপ্রিমকোর্ট!

Supreme court


কোচবিহারের দিনহাটায় চাকরির প্রতিশ্রুতিতে টাকা নেওয়া এবং ধর্ষনের মামলায় অভিযুক্ত তৃনমূল নেতা (বহিষ্কৃত) আব্দুল মান্নান ওরফে মান্নের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি মাননীয় পার্থ সারথি চ্যাটার্জী । কেস ডায়েরি দেখে তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান যাকে জ্যাঠু বলে সম্বোধন করতো মহিলা সেই জেঠুই আবার ভাইজিকে ধর্ষন করেছে এবং পরবর্তীতে তার মুখ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন রকম চেষ্টা চালিয়েছে । 


উল্লেখ্য এইদিন মামলায় নির্যাতিতার আইনজীবী হিসাবে সাওয়াল করেন আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জী, তিনি আদালতের কাছে তথ্য সহ তুলে ধরেন ,বন্দী থাকা অবস্থাতে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান পালানোর চেষ্টা করেছিল এবং পুলিশের কাছে ধরা পরে যায় পরবর্তী সময়েও নির্যাতিতার ওপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার হয়। তা নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু অভিযোগকারী মহিলাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেন।সব শুনে বিচারপতি জামিনের আবেদন খারিজ করে দিলেন। 



নানা দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হিংসার সাথে জড়িত তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি (বহিষ্কৃত) আব্দুল মান্নান ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে জেল হেফাজত থেকেই বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে কার্যত। সুপ্রিম কোর্ট ছাড়া সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে গেল আব্দুল মান্নানের সামনে।



প্রসঙ্গত দিনহাটায় এক মহিলাকে চাকরির টোপ দিয়ে শারিরীক সম্পর্কের অভিযোগে তৃণমূলের বড় আটিয়াবাড়ি ২ নং অঞ্চল সভাপতির আব্দুল মান্নান ওরফে মান্ন গ্রেফতার হন। অভিযোগ ওই মহিলার বাবার কাছ থেকে মেয়েকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার চাকরি দেবার নামে ৫ লক্ষ টাকা নেয় ওই তৃণমূল নেতা। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে আব্দুল মান্নান টালবাহানা শুরু করে। এরপর গত ১৪ই মার্চ ওই মহিলাকে বলে চাকরির ইন্টারভিউ রয়েছে আসতে হবে। সেই মতো মহিলাকে দিনহাটায় বাবার বাড়ি থেকে তৃণমূল নেতা গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে ঝুড়িপাড়াতে তৃণমূল নেতা ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ভয় দেখিয়ে মহিলার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে এবং মহিলার নগ্ন ছবি ও ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করে। আব্দুল মান্নান বলে যে যদি টাকা ফেরত চাওয়া হয় তবে মহিলার স্বামীর মোবাইল ফোনে এই নগ্ন ছবি/ভিডিও এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে দেবে। এছাড়াও শারিরীক সম্পর্কের পর ওই মহিলাকে মদ খাওয়ার জন্য জোর করে ওই তৃণমূল নেতা এমনকি না খাইতে চাইলে মদের কাঁচের বোতল দিয়ে নির্যাতিতা মহিলার মাথায় আঘাত করার অভিযোগ। মহিলার চিৎকার শুনে সবাই ছুটে এলে প্রাণে বেঁচে যায়।