Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

জীবিত ভোটার হয়ে গেছে মৃত ! শোকজ BLO দের, নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন

জীবিত ভোটার হয়ে গেছে মৃত ! শোকজ BLO দের, নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন 

খসড়া ভোটার তালিকা, জীবিত ভোটার মৃত, বিএলও শোকজ, নির্বাচন কমিশন, পশ্চিমবঙ্গ ভোটার তালিকা ত্রুটি, কোচবিহার ভোটার সমস্যা, দক্ষিণবঙ্গ ভোটার তালিকা, ভোটার তালিকা অসঙ্গতি, ইআরও রিপোর্ট, প্রবীণ ভোটার শুনানি


রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর একাধিক অসঙ্গতি সামনে এসেছে। বহু জীবিত ভোটারকে তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে, আবার কোথাও নাম বাদ পড়েছে, কোথাও ছবির সঙ্গে নামের অমিল। এই ঘটনায় ভোটারদের ক্ষোভ চরমে উঠেছে। তাঁদের দাবি, দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই। তবে কমিশন দায় চাপাচ্ছে বুথ লেভেল অফিসারদের উপর।

কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার রাজবংশী দম্পতি অশ্বিনী অধিকারী ও শিবানী অধিকারী অভিযোগ করেছেন, তাঁরা ফর্ম পূরণ করেছিলেন অথচ তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে। দেওয়ানহাটের বাসিন্দা আলিমান বেওয়ারও একই অভিযোগ করেছেন। মাথাভাঙার শোভা বর্মন, কাজিমা খাতুন ও রাহুল হোসেনকে মৃত দেখানো হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের মসিরদ্দিনের নাম বাদ পড়ে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের কালনার পূর্ণ সাহা মৃত তালিকায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর-সোনারপুরের পিন্টু দাস জীবিত হলেও বাদ পড়েছেন। হুগলির চুচুঁড়ার দেবময় ভট্টাচার্য স্থানান্তরিত ভোটার হিসেবে ফর্ম পূরণ করলেও মৃত দেখানো হয়েছে।

শুধু জীবিত ভোটারকে মৃত দেখানো নয়, আরও অসঙ্গতি রয়েছে। বাঁকুড়ায় রাজু দে’র নামের পাশে এক মহিলার ছবি ছাপা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে কাসিমুদ্দিন গাজির মেয়ের নাম ভুলভাবে অন্য নামে উল্লেখ করা হয়েছে।

কমিশনের দাবি, বিএলওদের ভুলেই এই বিপত্তি। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং-শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, কোচবিহার দক্ষিণ, হুগলির ডানকুনি ও চণ্ডীতলার একাধিক বিএলওকে শোকজ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইআরওদের কাছ থেকেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলিও অভিযোগ জমা দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস জমা দিয়েছে ৬৮,৫৫৬টি অভিযোগ, সিপিএম ৪২,৭৫৯টি, বিজেপি ৫৫,১৬১টি। এসইউসিআই ত্রুটিহীন তালিকার দাবিতে সিইও অফিসে ডেপুটেশন দিয়েছে।

এদিকে প্রবীণ ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। করোনা পর্বে যেমন ৮০-ঊর্ধ্ব ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা হয়েছিল, এবার ৮৫-ঊর্ধ্ব ভোটারদের শুনানি তাঁদের বাড়িতেই হবে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হবে। শুনানির ডাক পাওয়া প্রবীণ ভোটারকে আর কেন্দ্রে যেতে হবে না। বুথ লেভেল অফিসার ও এআরও সরাসরি তাঁদের বাড়ি গিয়ে শুনানি করবেন। মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকেই অটো জেনারেটেড চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code