এসএসসি মামলায় চাকরি বাতিল! ফের চাকরি হারালেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়
এসএসসি মামলায় চাকরি বাতিল। ২০১৬ সালের এসএসসি'র প্যানেল বাতিলে চাকরি হারালেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। যার মধ্যে নাম রয়েছে শিলিগুড়ির অনামিকা রায়ের।
উল্লেখ্য ২০১৬-র প্যানেলে পরেশ চন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী চাকরি পেয়েছিলেন। তবে এই চাকরি নিয়োগের মামলায় আদালতের দ্বারস্থ হন ববিতা সরকার। পরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি পান ববিতা সরকার। কিন্তু এখানেই থামেনা নিয়োগ প্রক্রিয়া, পাল্টা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন শিলিগুড়ির অনামিকা রায় এবং বিচার প্রক্রিয়া চলার পর ববিতা সরকারের চাকরি মেলে অনামিকা রায়ের।
আমবাড়ি হরিহর হাই স্কুলে অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচাররূপে নিযুক্ত হন অনামিকা রায়। তবে কয়েক মাস যেতে না যেতে ই ফের ২০১৬ এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এক কথায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয় এদিন শীর্ষ আদালতে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করে তালিকা জমা দেয় এসএসসি এবং সেখান থেকেই অযোগ্যদের চাকরি যাবে ও ১২% সুদ সহ বেতন ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি অযোগ্যরা নতুন নিয়োগেও অংশ নিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে যোগ্যদের চাকরি গেলেও বয়সসীমা বাড়িয়ে ফের পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
তবে এই সবে হতাশ হয়ে পড়েছে শিলিগুড়ির মেয়ে অনামিকা রায়। কেননা সুপ্রিম কোর্টের উপরেই ভরসা করেছিল অনামিকা। কিন্তু অবশেষে হতাশ হতে হলো তাকে। চাকরি হারালেন তিনি। এদিন তিনি এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন কিভাবে পুরনো চাকরি ফেরত পেতে তিন মাসের মধ্যে আবেদন করা সম্ভব এবং কিভাবেই বা পুনরায় তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব। কেননা যারা আজ থেকে দশ বছর আগে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদের পক্ষে কতটা কঠিন হতে পারে পুনরায় পরীক্ষা দেওয়া। কারণ একটা মানুষ কিভাবে একই পরিশ্রম করে পুনরায় পড়াশোনা চালাতে পারে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এছাড়াও তিনি এসএসসির গাফিলতির বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন হাইকোর্টে যখন যোগ্য ও অযোগ্য তালিকা চাওয়া হয়েছিল তখন কেন এসএসসি তা দিতে পারিনি, যদি তখনই এই তালিকা দেয়া হতো তাহলে জল এত দূর গরাত না। এমন একাধিক প্রশ্ন তোলেন অনামিকা রায়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊