হাইকোর্টে চাকরি বাতিলের নির্দেশে বিপাকে নির্বাচন কমিশনও!

ECI and hc



আজ কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে।‌ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট সমস্ত নিয়োগ বাতিল করেছে। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও যাদের চাকরি হয়েছে তাঁদের টাকা ফেরতেরও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই রায়ের এর ফলে এবার বিপাকে লোকসভা নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনও? হ্যাঁ, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।



সারা দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে সাধারন নির্বাচন। ইতিমধ্যে প্রথম দফার নির্বাচন শেষ। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের আগে এলাকায় এলাকায় চলছে জোর প্রচার। রাজ্যেও রয়েছে ভোট। ভোট গ্রহন থেকে শুরু করে নির্বাচনের একাধিক কাজে জড়িত থাকেন সরকারি কর্মীরা। এককথায় বলতে গেলে নির্বাচন করাতে একটা বিরাট ভূমিকায় থাকে সরকারি কর্মীরা। নির্বাচন চলাকালীন ভোটকর্মী রূপেই কাজ করেন তাঁরা। এখনও রাজ্যের বাকি ছয় দফায় নির্বাচন। রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে শুধুমাত্র ৩টি আসনে হয়েছে নির্বাচন। হাইকোর্টের এই রায়ে চাকরি বাতিলের জের ভোট কর্মীর যে কিছুটা হলেও কমবে তা স্বাভাবিক ফলে ভোট নিতে কিছুটা অসুবিধার মুখে পড়লো কমিশন এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।



সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে এই মামলার শুনানি করে কলকাতা হাই কোর্টে। গত বছরের নভেম্বর মাসে হাই কোর্টকে ৬ মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। গত কয়েক মাস ধরে একটানা শুনানির পর রায় দান স্থগিত রাখে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। আর আজ সেই মামলার রায়দান করলো হাইকোর্ট।




সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মতো গত ডিসেম্বরে শুরু হয় শুনানি। টানা সাড়ে তিনমাস শুনানির পর বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে গত ২০ই মার্চ শেষ হয় শুনানি। শুনানি শেষের পর রিজার্ভ রাখা হয় রায়দান। সোমবার সেই মামলার রায়দান করবে উচ্চ আদালত।