Breaking News: ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ বাতিল করল হাইকোর্ট



Highcourt

এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় খবর SSC-তে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ বাতিল করল হাইকোর্ট। SSC র ২০১৬-র পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিল হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালতের বড় পর্যবেক্ষন, 'মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনও চাকরি বৈধ বলে গণ্য হওয়া উচিত নয়'। 



আদালত জানিয়েছে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সমস্ত নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। এছাড়াও মেয়াদ উত্তীর্ণদের বেতন ফেরতের নির্দেশ আদালতের। ৬ সপ্তাহের মধ্যেই  এখনও অবধি পাওয়া সমস্ত বেতন ফেরতের দিতে হবে।



সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে এই মামলার শুনানি করে কলকাতা হাই কোর্টে। গত বছরের নভেম্বর মাসে হাই কোর্টকে ৬ মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। গত কয়েক মাস ধরে একটানা শুনানির পর রায় দান স্থগিত রাখে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। আর আজ সেই মামলার রায়দান করলো হাইকোর্ট। 


সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মতো গত ডিসেম্বরে শুরু হয় শুনানি। টানা সাড়ে তিনমাস শুনানির পর বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে গত ২০ই মার্চ শেষ হয় শুনানি। শুনানি শেষের পর রিজার্ভ রাখা হয় রায়দান। সোমবার সেই মামলার রায়দান করবে উচ্চ আদালত।



হাই কোর্টের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিমরা জানিয়েছেন, “এই সবকটি ক্ষেত্রে ২৪ হাজার ৬৪০ টি শূন্যপদ ছিল, দেখা যায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। অর্থাৎ অতিরিক্ত নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।” পাশাপাশি,‌ র‌্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি দেওয়া, ওএমআর শিটে শূন্য বা ১ পাওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া, তালিকায় নাম না থাকা প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছিল এই মামলায়। 



মামলার শুনানি চলাকালীন অতিরিক্ত নিয়োগের পরিসংখ্যান আদালতে জমা দিয়ে তাঁরা জানান, ২০১৬ সালে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে কমিশনের তরফে ১১ হাজার ৪২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। পর্ষদ মোট ১২ হাজার ৯৬৪টি নিয়োগপত্র দেয়। অর্থাৎ, ১৫৩৯ জনের নিয়োগ বাড়তি। একই ভাবে, ওই বছর একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ ছিল ৫,৫৫৭ জনের। নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে ৫,৭৫৬ জনকে। বাড়তি নিয়োগ হয়েছে ১৯৯ জনের। এসএসসিতে চতুর্থ শ্রেণির (গ্রুপ-ডি) কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩,৮৮১ জনের নিয়োগের সুপারিশ করেছিল কমিশন। পর্ষদ ৪৫৫০ জনকে নিয়োগপত্র দেয়। ৬৬৯ জনকে অতিরিক্ত নিয়োগ করা হয়। ওই বছর ২,০৬৭ জন গ্রুপ সি কর্মীর নিয়োগ সুপারিশ করেছিল কমিশন। নিয়োগপত্র পান ২,৪৮৩ জন। অর্থাৎ, বাড়তি নিয়োগ হয় ৪১৬ জনের।