বিহার-বাংলাভাষী-সম্মেলন, প্রস্তুতি জোরকদমে

বিহার-বাংলাভাষী-সম্মেলন, প্রস্তুতি জোরকদমে


আগামী ১০ ডিসেম্বর ২০২৩-এ (বেলা ২.০০ – রাত ৮.০০) কলকাতার যোগেশ মাইম একাডেমি সভাগৃহে ‘বিহার বাঙালি সমিতি’-র আয়োজনে ও আমাদের ভাগলপুর, সাহেবগঞ্জ সম্মেলনী, মুঙ্গের বাঙালি, দ্বারভাঙ্গা বাঙালি সমিতি, কলকাতা ও নেপাল রাষ্ট্রীয় বাঙালি সমাজ, বিদ্যাসাগর স্মৃতিরক্ষা সমিতি, ঝাড়খন্ড বঙ্গভাষী সমন্বয় সমিতি-র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হবে ‘বিহার-বাংলাভাষী-সম্মেলন’।


বর্তমান বিহার রাজ্য ও অবিভক্ত বিহারের (ঝাড়খণ্ড সহ) বাঙালি ও যাঁরা বর্তমানে নানান কারণে বিহারের বাইরে থাকেন তাঁদের সকলকে একত্রিত করার ও ভাব-বিনিময়ের করার উদ্দ্যেশে এই সম্মিলনের আয়োজন বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


বিহার বাঙালি সমিতির সম্পাদক বিদ্যুৎ পাল বলেন- "ভারতবর্ষের আর্থ-সমাজ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু ভাষা-গোষ্ঠীর অন্যতম পুরানো (১৯৩৮ খ্রি.) বাঙালি সংগঠন তার স্বর্ণালি অতীত-স্মরণ করবে ও আজও কী ভূমিকা পালন করে চলেছে তা আলোচিত হবে। এবং ভবিষ্যতে কী হবে তার পথরেখা তারই ইঙ্গিত নেওয়ার চেষ্টা করবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, এমনকি ভারতের বাইরে (নেপাল) থেকে আগত বিভিন্ন বাঙালি সংগঠনের প্রতিনিধিদের আলোচনার মধ্য থেকে।"


বিহার বাঙলাভাষী সম্মেলনের আহ্বায়ক সুনির্মল দাস জানিয়েছেন- "অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট বক্তারা বক্তব্য রাখবেন ‘বহির্বঙ্গে বাঙালি জীবন ও সংস্কৃতি’ শিরোনামে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাসভায়। দ্বিতীয় পর্বে ‘বিহার বাঙালি সমিতি’র বিভিন্ন শাখার ও ভারতের অনান্য রাজ্যের বাঙালি সংগঠনের প্রতিনিধিরা পারস্পরিক মতবিনিময় ও বক্তব্য রাখবেন। কর্মাটাড়ে বিদ্যাসাগরের বাসভবন 'নন্দনকানন'কে ভাষাতীর্থ হিসেবে উন্নীত করার কাজে, বিদ্যাসাগর স্মৃতিরক্ষা সমিতি-র ৫০ বছরের ইতিহাস নিয়ে প্রতিবেদন থাকবে। বিহার ও অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এই সম্মেলনকে মনোরম করে তুলবে।"