DA এর দাবিতে কর্মবিরতি হলেও ১০০শতাংশ উপস্থিতি পূর্ব বর্ধমান জেলা অফিসে

DA


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-


বকেয়া ডিএ-র দাবীতে সোমবার থেকে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চের আন্দোলনে কর্মবিরতি শুরু হলেও পূর্ব বর্ধমান জেলায় সরকারী অফিসে হাজির ১০০ শতাংশই বলে জানালেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। 



উল্লেখ্য, বকেয়া ডিএ-র দাবীতে সোমবার থেকে টানা ২দিন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ। গোটা রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে বর্ধমানেও রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের দুটি পক্ষই পৃথক পৃথকভাবে আন্দোলনে নেমেছে। এদিন বর্ধমানের কোর্ট কম্পাউণ্ড এলাকায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মচারী ফেডারেশনের পূর্ত রাজ্য শাখার পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে যৌথ মঞ্চের আন্দোলনের প্রতিবাদ করে একটি মিছিল সংগঠিত করা হয়। সম্প্রতি রাজ্য বাজেট ঘোষণার সময় রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের ৩ শতাংশ ডিএ দেবার ঘোষণাকে সবুজ অভিনন্দন জানিয়ে এদিন মিছিল সংগঠিত করা হয়। 



এই সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি বিপ্লব দত্ত জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সীমিত সামর্থ্য নিয়ে ৩ শতাংশ ডিএর ঘোষণা করেছেন। তাঁরা আশাবাদী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরকারী কর্মচারীদের দাবীকে সহানুভূতির সঙ্গেই বিবেচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। অন্যদিকে, এরই পাল্টা যৌথ মঞ্চের অংশীদার বর্ধমান জেলা আদালতের ক্লার্করা ডিএ-র দাবীতে এদিন থেকেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। এদিন জেলা আদালতের কর্মচারী অনিল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ডিএ রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের অধিকার। তাঁরা পথে নেমেছেন। আন্দোলনকে প্রতিহত করতে সরকারীভাবে যে শাস্তিমূলক ঘোষণা করা হয়েছে এদিন সেই সার্কুলারকে পুড়িয়ে বিক্ষোভও দেখানো হয়েছে। ৩ শতাংশ ডিএর ঘোষণায় খুশি হওয়া কর্মচারীদের আন্দোলন সম্পর্কে এদিন অনিলবাবুরা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে বালির টাকা কিংবা জমি বিক্রির কাটমানির টাকা আসে না। তাঁদের দায়বদ্ধতা সরকারী কাজের মধ্যেই। যাঁরা ৩ শতাংশ ডিএ-তে খুশী তাঁরা সরকারী স্থায়ী কর্মচারী নন, অস্থায়ী কর্মী। কেউ কেউ দাদা দিদি ধরে কাজ পেয়েছেন তাই তাঁরা এই আন্দোলন করছেন। 


অন্যদিকে, এদিন বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুপ্রিয় অধিকারী জানিয়েছেন, এদিন অন্যান্যদিনের মতই সরকারী কর্মচারীদের হাজিরা ছিল স্বাভাবিক ১০০ শতাংশই।