যানজট মুক্ত করতে হকার্স উচ্ছেদে কড়া, হুমকিও দিলেন বিধায়ক 




সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান সদর :-



পার্টির ছেলেরা পয়সা খেয়ে দোকান বসিয়ে শিল্প করতে চায়।এসব হবে না।এদিন রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতেই হকার, দোকানদারদের রীতিমত হুমকিও দিয়েছেন বিধায়ক খোকন দাস। দোকানদারদের উদ্দেশ্যে তিনি এদিন বলেন, রাস্তার উপর দোকান করবে, তোমার বাড়ি ভালো থাকবে? বাড়ির দরজার সামনে গুমটি বসিয়ে দেবো তখন বুঝবে। আবার কোথাও গিয়ে বলেন এখানে তো দোকানই ছিলো না,ড্রেন বন্ধ করে দোকান বসিয়েছে।




কার্যত এদিন শুরু থেকেই বিধায়ক কড়া ধমক দিয়ে রাস্তা থেকে জবরদখলকারীদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরের বহু স্থায়ী দোকানদার তাঁর দোকানের সামনে অবৈধভাবে আচ্ছাদন বাড়িয়ে নিয়ে রাস্তা দখল করেছেন।




কেউ কেউ তাঁর দোকানের সামনেই টাকার চুক্তিতে হকার বসিয়েছেন। এদিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত জবরদখল সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।




১৯৯৩ সাল নাগাদ কোর্ট কম্পাউণ্ডে তাদের জন্য হকার্স মার্কেট তৈরী করে দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল শহরকে হকারমুক্ত করা। পরবর্তীকালে বহু হকারই তাদের প্রাপ্য ঘর অন্যকে ভাড়া দিয়ে ফিরে যান ফুটপাতেই। যা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। শনিবার যেভাবে হকারদের কড়া হুমকি দিয়েছেন, তাতে অনেকেই মনে করছেন ঘুরিয়ে হকার উচ্ছেদের কথাই বলা হচ্ছে। পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা হলে আগামীদিনে আন্দোলনে নামারও হুমকি দিয়েছেন হকাররা।




বর্ধমান শহরকে যানজট মুক্ত করতে শনিবার থেকে অভিযান শুরু করল বর্ধমান পুরসভার সঙ্গে জেলা প্রশাসন। এদিন বর্ধমান শহরের কার্জন গেট থেকে উত্তরফটক পর্যন্ত পথ হাঁটলেন জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, পুরপ্রধান পরেশ সরকার, বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী সহ পুরসভার কাউন্সিলাররাও।




এদিন রাস্তার দুপাশে রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত জবরদখল করে রাখা দোকানদার এবং হকারদের 'রাস্তা' থেকে সরে যাবার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। রবিবার থেকেই শহরের সমস্ত রাস্তাকে ছেড়ে ব্যবসা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।




জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা জানিয়েছেন, রাস্তা ছেড়ে ব্যবসা করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি পৌরসভার পক্ষ থেকেও চিঠি করা হবে। জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানান, নর্দমার উপর, ট্রান্সফরমারের নীচে দোকান করেছে। সেগুলো খুলে নেবার জন্য বলা হয়েছে।তবে এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি হর্কাস ইউনিয়নের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস।