Breaking: লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাইদকে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত 


পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী  লস্কর-ই-তৈয়বা (Lashkar-e-Taiba)র প্রধান হাফিজ সাইদ (Hafiz Saeed)-কে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। লাহোর সন্ত্রাসবিরোধী আদালত এলইটি প্রধান হাফিজ মুহাম্মদ সাইদকে 3,40,000 রুপি জরিমানাও করেছে। তার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।




জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের দু’টি মামলায় হাফিজ সইদকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদলত। ২৬/১১ এর হামলার মূলচক্রী পাকিস্তানের জঙ্গি হাফিজ সইদকে পাকিস্তানের অ্যান্টি-টেররিজ়ম কোর্ট শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে।


হাফিজ সইদ হল জাতিসংঘ মনোনীত জঙ্গি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে তার মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার ধার্য করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা এবং পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সাইদক। 



২০২০ সালে, হাফিজ সাইদকে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার একটি আর্থিক মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আদালত ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়।



তবে আদালত সাজা দিলেও একঅর্থে পাকিস্তানে ‘মুক্ত বিচরণ’ করেছে রাষ্ট্রসংঘের ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদ। একাধিক জনসভায় ভারতের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ভাষণও দিতে শোনা যায় তাকে।


 ২০১৯ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল হাফিজকে। 



২০০১ সাল থেকে আটবার গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হাফিজ সাইদকে।



২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক সাজিয়েছিলেন হাফিজ সাইদ। ওই হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ১৬৬ জন মানুষের।



২০১৭ সালে, হাফিজ সাইদ এবং তাঁর চার সহযোগীকে আটক করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু পঞ্জাবের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা বোর্ড তাঁদের বন্দিত্বের মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকার করলে প্রায় ১১ মাস পরে মুক্তি পান তাঁরা।