উৎসবের ছোঁয়া এবার গণ বিবাহে, ১০১ জোড়া নব দম্পতির নতুন জীবনের শুভরাম্ভ





সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান সদর:-


উৎসবের ছোঁয়া এবার গন বিবাহে।শাক,শানাই,উলু ধ্বনির মধ্যদিয়ে শুরু হলো নব দম্পতির অধিবাস। গায়ে হলুদের পর কল্পতরু চিলড্রেন কালচার সেন্টার ও রথতলা কণ্যা কুমারী থেকে টোটোয় চড়ে ১০১ জোড়া নব দম্পতির শুভাগমন হলো কাঞ্চন নগর কঙ্কালেশ্বরি কালী মন্দিরের উদ্দেশে।



ব দম্পতির মাতৃ ও পিতৃ স্থান পালন করেন বিধায়ক খোকন দাস ও তার সহ ধর্মিনী মৌসুমী দাস। তিন পুরোহিত ,দুই মৌলবীর ও ফাদারের উপস্থিতিতে নব দম্পতির চার হাত এক করা হয় রাতি ৯টা নাগাদ।সোনার আংটি,নাক ছাবি, জীবন বীমা,বাই সাইকেল, সেলাই মেশিন,এল সি ডি টিভি ,খাট, আলমারি, বিছানা পত্র সহ মোট ৩১ রকমের দান সামগ্রীর পাশাপাশি এক মাসের খাদ্য সামগ্রীও তুলে দেওয়া হয় নব দম্পতির হাতে।




অষ্টম বর্ষের গন বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধান সভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়,মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়,সভাধিপতি শম্পা ধারা,পুলিশ সুপার কমনাশিষ সেন,দেবু টুডু সহ এক ঝাঁক বিধায়করা।



গন বিবাহ অনুষ্ঠানে হিন্দু, মুসলিম ও খ্রীষ্টান, ধর্মেই বিয়ে সম্পূর্ণ করা হয়।বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে মেলার রুপ ধারণ করে কঙ্কালেশ্বরি কালীমন্দির মাঠে।বরযাত্রী,কণ্যাযাত্রী ছাড়াও বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।




নিরামিষ ভোজী হলেও খাওয়ার তালিকায় ছিলো ভাত, ডাল, আলু পটল, পোনির তরকারি, চাটনি, পাঁপড়,রাজভোগ।




অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে শুধু দেখি পাত্র আর পাত্রী পক্ষ কিন্তু এখানে সব পক্ষই এক সাথে আছে। ভালো লাগছে।



বিধায়ক খোকন দাস বলেন অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য এই গন বিবাহ কমিটি।নব দম্পতির জীবন বীমার প্রথম কিস্তির দের লক্ষ টাকা আমরা দিয়ে থাকি।এছাড়া আংটি, নাক ছাবি সহ সমস্ত রকম দান সামগ্রীর দেওয়া হয়। বিধায়ক বলেন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সমস্ত ক্লাব গুলোকে পাঁচ লক্ষ করে টাকা দিয়েছেন।আজ ক্লাব যদি একটা করে মেয়ের বিয়ে দিতো তাহলে অনেক গরীব মানুষ উপকৃত হতো।



৮৫ জোড়া হিন্দু ১৫ জোড়া মুসলিম এবং এক জোড়া খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের যুবক যুবতী সহ মোট ১০১ জোড়া পাত্র পাত্রীর বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান গন বিবাহ কমিটির সহ সভাপতি চন্দ্রনাথ ইযাদব।প্রত্যেক দম্পতির জন্য প্রায় দুলক্ষ টাকা করে খরচ হয়েছে বলে জানান তিনি।