কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণে- সন্ত্রাসী হামলা বলছে তালিবান

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণে- সন্ত্রাসী হামলা বলছে তালিবান
 




স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণে শিশুসহ কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও বিস্ফোরণে প্রায় ৫২ জন আহত হয়েছে। এবং তাদের মধ্যে ৩ জন মার্কিন সেনাও আহত হয়েছেন।



প্রতিবেদন অনুসারে, বিমানবন্দরের প্রধান অ্যাবি গেটে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছিল, যেখানে হাজার হাজার মানুষ গত ১২ দিন ধরে বেরিয়ে আসার আশায় জড়ো হয়েছিল।


তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণগুলো ছিল ‘সন্ত্রাসী হামলা’।


“গ্রুপটি আমেরিকানদের কাবুল বিমানবন্দরে আইএসআইএল -এর সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার তথ্য সরবরাহ করেছে। তালেবান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সন্ত্রাসীদের আফগানিস্তানকে তাদের অপারেশনের জন্য ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে দেবে না।'' তিনি যোগ করেন।



আপডেট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে একটি সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরিত হয়, এতে শিশুসহ কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, অনেক তালেবান রক্ষী আহত হয়েছে।



যাইহোক, অনেক পশ্চিমা সেনা বিদেশি এবং আফগানদের সরিয়ে দিতে ছুটে এসেছে যারা তালেবানদের বিরুদ্ধে ২০ বছরের যুদ্ধের সময় পশ্চিমা দেশগুলিকে সাহায্য করেছিল এবং ৩১ আগস্টের সময়সীমার মধ্যে নিজেদের বের করে নেবে।



অন্যদিকে, পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি বলেন, সেখানে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে এবং এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।



একজন আফগান আদম খানের মতে, বিমানবন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ভিড়ে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। তিনি বলেন, বেশ কয়েকজন নিহত বা আহত হয়েছেন বলে মনে হয়, যাদের মধ্যে কেউ কেউ শরীরের অঙ্গ হারিয়েছেন।



যদিও বেশ কয়েকটি দেশ সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বিমান বন্দর এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছিল। আত্মঘাতী বোমা হামলার হুমকি আছে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছু মানুষ সে বিষয়ে কান দিলেও বেশিরভাগ মানুষ বাড়ি ফিরতেই বিমানবন্দরে ছিলেন। চরম সতর্কতা জারি করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া। বিকেলে ইতালির একটা বিমান কাবুল বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরই বিমান লক্ষ্য করে উড়ে এসেছিল ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। তারপর থেকেই আচমকা কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের পরিস্থিতি থমথমে হতে শুরু করে। ঠিক যেন ঝড়ের আগের নিস্তব্ধতা। রাত আটটা বাজার আগেই কেঁপে ওঠে কাবুল বিমানবন্দর চত্বর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ