‘সিপিআইএম লোভী, বিজেপি ভোগী, তৃণমূল ত্যাগী’: তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

 


‘সিপিএম লোভী, বিজেপি ভোগী, তৃণমূল ত্যাগী’: তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


করোনার জেরে দীর্ঘ আট মাস পর রাজনৈতিক জনসভা। প্রথম রাজনৈতিক জনসভায় যোগ দিয়ে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ি হাটের মাঠে বিজেপি ও সিপিআইএম-কে একযোগে আক্রমণ করলেন তিনি। 


এদিন তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘বাঁকুড়ায় একসময় সিপিএম অত্যাচার করত। বহু মানুষ ঘরছাড়া ছিল। জঙ্গলমহলের মানুষ ভয়ে বেরোতে পারত না। বাঁকুড়া কী সেই ভয়ের দিনগুলো ভুলে গিয়েছে?’ বাঁকুড়া এখন শান্তিতে আছে বলেই দাবি তাঁর। তিনি আরও বলেন, 'সিপিএমের হার্মাদরা আজ বিজেপির হার্মাদ। রঙটা শুধু পরিবর্তন হয়েছে, বাকিটা এক আছে।’ সব বিরোধীদের একসুরে আক্রমণ করে বলেন, ‘আপনার সব ওরা লুটে নেবে। কোনও কোনও পুলিশকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।


তৃণমূলনেত্রী বলেন, 'সিপিএম লোভী, বিজেপি ভোগী, তৃণমূল ত্যাগী। বাঁকুড়ায় একটা আসনও পাবে না বিরোধীরা। বিজেপির পায়ে পড়েছে সিপিএম, লজ্জাও নেই!’ বিজেপির দিকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, 'ক্ষমতা থাকলে জেলে ভরো, জেলে থেকে জেতাব।’ তাঁর কথায় আগামী দিনে রাজ্যে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস নির্মূল হবে। তিনি বলেন, বিজেপি মিথ্যার ডাস্টবিন হয়ে গিয়েছে। বিজেপি ৩৬৫ দিন মানুষকে বোকা বানায়।


পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে কয়লা খনি বিক্রি, ডিএ বন্ধ, কেন্দ্রের কৃষি নীতির সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘চাষীদের আলু-পেঁয়াজ লুঠ করছে। বিজেপি দেশের সবথেকে বড় অভিশাপ। বিজেপিকে জব্দ করতে হবে। সাথে সাথে তৃণমূল মানবিক বলেও মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সরকার মানবিক সরকার, সামাজিক সরকার। তৃণমূল দেশকে টুকরো করতে দেবে না। সম্প্রতি বাঁকুড়া সফরে এসে তফশিলি গৃহে অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজন নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, তফশিলি বাড়িতে রান্না করে নিয়ে এসে খেয়েছেন অমিত শাহ। ‘পাঁচতারা হোটেল থেকে এসেছে খাবার।’


এদিন তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, কারও ভুল থাকলে তাঁকে দল থেকে বের করে দেন। কে কার সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে, দলে থেকে কারা যোগাযোগ করছেন সব নজরে রয়েছে তাঁর। তিনি আরও বলেন, ‘ ধান্দাবাজদের একটা গোষ্ঠী আছে। তাদের সংখ্যা খুবই কম। রাতের অন্ধকারে কে কার বাড়ি যাচ্ছে খেয়াল রাখুন।’ 


অনুর্বর জমি উর্বর করে ২৫ লক্ষ যুবক-যুবতীদের চাকরি দেবেন বলেও এদিন প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি। মমতা জানান, ‘বাঁকুড়ায় চারটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে। ৩৫-৪০ কোটি টাকা ভাড়ায় ৩০০ ট্রেনে পরিযায়ীদের ফিরিয়েছি।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ