গৃহবধুর উদ‍্যোগে, সমাজকর্মীদের চেষ্টায়, পুলিশ ও পুরসভার সহযোগিতায় ভবঘুরে মহিলা উদ্ধার



গৃহবধুর উদ‍্যোগে, সমাজকর্মীদের চেষ্টায়, পুলিশ ও পুরসভার সহযোগিতায় ভবঘুরে মহিলা উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, শচীন পাল 


আবারও সামাজিক মানবিক মুখের সাক্ষী থাকলো মেদিনীপুর শহর। মেদিনীপুর শহরের এক গৃহবধূর উদ‍্যোগে, সমাজকর্মীদের চেষ্টায়, পুলিশ, পুরসভার সহযোগিতায় এক ভবঘুরে মহিলাকে উদ্ধার করা হলো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। 


বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেদিনীপুর শহরের বার্জটাউন মাঠের ধারে বসে ছিলেন এক ভবঘুরে মহিলা। বিষয়টি স্থানীয় গৃহবধূ শকুন্তলা সরকারের নজরে পড়লে তিনি তাঁকে খেতে দেওয়ার পাশাপাশি, তাঁকে উদ্ধারের জন্য হেল্পলাইন নং "১০০" তে ফোন করেন। তাতে বিশেষ সুবিধা না হওয়ায় বিষয়টি তিনি সমাজকর্মী ফাকরুদ্দিন মল্লিক ও সমাজকর্মী সুদীপ কুমার খাঁড়াকে জানান। ফাকরুদ্দিন মল্লিক বিষয়টি মেসেজ করে থানার পুলিশ আধিকারিকদের জানান এবং এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেন।



অন‍্যদিকে সুদীপবাবু শকুন্তলা সরকারকে মেদিনীপুর কোতয়ালী থানার ফোন নং দেন দিয়ে সরাসরি থানায় ফোন করতে বলেন। পাশাপাশি সুদীপবাবু মেদিনীপুর পুরসভার আধিকারিক কৌশিক রানা ও পুরসভার এনইউএলএম-এর ম‍্যানেজার দেবজিৎ সাঁতরাকে বিষটি জানান। এছাড়াও সুদীপবাবু শিক্ষক অরিন্দম দাস সূত্রে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী সুমন সিংহকেও বিষয়টি জানান। পাশাপাশি সুদীপবাবু দেবজিৎ বাবুর যোগাযোগ নং শকুন্তলা সরকারকে দেন। শকুন্তলা সরকার ফোনে সরাসরি কোতয়ালী থানায় যোগাযোগের পাশাপাশি ফোনে পুরসভার এনইউএলএম-এর ম‍্যানেজার দেবজিৎ সাঁতরার সাথে যোগাযোগ করেন। দেবজিৎ সাঁতরাবাবুও কোতোয়ালি থানা ও মহিলা পুলিশ থানাতে বিষয়টি জানান এবং এবিষয়ে ব‍্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। শেষমেষ সকলের সম্মিলিত চেষ্টার ফলস্বরূপ সন্ধ্যা সাতটা চল্লিশ মিনিট নাগাদ পুলিশ সেই ভবঘুরে মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। 


এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য শকুন্তলা সরকার সমাজকর্মীবৃন্দ, পুলিশ-প্রশাসন,পৌর আধিকারিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য শকুন্তলা সরকার "ইচ্ছেডানা" নামে একটি সংগঠনের কাজে যুক্ত রয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ