• নিজেদের দুধ সংগ্রহের ক্ষমতা ছুঁল দৈনিক ১৫০,০০০ লিটার (এলপিডি)
  • বর্তমানে উৎপাদন হয় দৈনিক ২৫০,০০০ লিটার দুধ। একে দৈনিক ৪০০,০০০ লক্ষ লিটারে নিয়ে যেতে চায় কেভেন্টার অ্যাগ্রো। এজন্য রাজ্যে আরও বাল্ক মিল্ক কালেকশন সেন্টার খুলতে চায় এই সংস্থা। 
  • পশ্চিমবঙ্গের ১৮ হাজার দুধ উৎপাদনকারীর জীবন জীবিকা বদলে দিচ্ছে কেভেন্টার অ্যাগ্রো


পশ্চিমবঙ্গে নবম বাল্ক মিল্ক কালেকশন ফেসিলিটি চালু করল কেভেন্টার অ্যাগ্রো


পূর্ব ভারতে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়ে চলা খাদ্য ও পানীয় উৎপাদনকারী সংস্থার অন্যতম হল কেভেন্টার অ্যাগ্রো। এই সংস্থা সবচেয়ে বেশি জোর দেয় ডেয়ারি ব্যবসায়। কেভেন্টার অ্যাগ্রো তাদের নবম বাল্ক মিল্ক কালেকশন সেন্টার (বিএমসি) চালু করার কথা ঘোষণা করল। 





কেভেন্টার অ্যাগ্রোর ডেয়ারি ব্র্যান্ড দুটো — মেট্রো ডেয়ারি ও কেভেন্টার মিল্ক। সম্প্রতি এই সংস্থা তাদের একটা নতুন কালকেশন সেন্টার চালু করেছে খড়্গপুরের বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে। এর ফলে সংস্থার নিজস্ব দুধ সংগ্রহের ক্ষমতা বেড়ে হয়েছে দৈনিক ১৫০,০০০ লিটার (এলপিডি)। এই কালেকশন কেন্দ্রটির আয়তন ১৫০০ স্কোয়ার ফুট। আশা করা হচ্ছে এখানে দৈনিক ২০ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করা যাবে। এই কেন্দ্রের জন্য বিনিয়োগ করা হয়েছে ৮০ লক্ষ টাকা। রাজ্যে মোট ৯টি বিএমসি তৈরি করতে কেভেন্টার অ্যাগ্রো বিনিয়য়োগ করেছে ৬ কোটিরও বেশি টাকা। 




এই কেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে কেভেন্টার অ্যাগ্রো লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মায়াঙ্ক জালান বলেন, ‘কোভিড ১৯ আমাদের জীবনশৈলিতে ব্যাপক পরিবর্তন নিেয় এসেছে। এখন স্বাস্থ্যরক্ষার অন্যতম নির্ধারক বিষয় হয়ে উঠেছে খাদ্যের পুষ্টিগুণ। যেহেতু ডেয়ারি পণ্যগুলির সামগ্রিক খাদ্যগুণ রয়েছে তাই সব পরিবারে এসব খাবারের চাহিদা বাড়ছে। এবং আমরা বিশ্বাস করি, স্বাভাবিক অবস্থা ফেরার পরেও এই প্রবণতা বজায় থাকবে। এররকম পরিস্থিতিতে কালেকশন সেন্টারের একটা নেটওয়ার্ক থাকাটা এমন একটা বাস্তুতন্ত্র গড়ে তুলে সাহায্য করে যেখানে রাজ্যের ডেয়ারি শিল্পের পরিসরে কোম্পানি আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং বাড়তি চাহিদা মেটাতে তৈরি থাকতে পারে।’




খড়্গপুরে ৯ম বাল্ক মিল্ক কালেকশন সেন্টার চালু হওয়ার ফলে এখন মোটি ৫টি জেলায় (বর্ধমান, হুগলি, মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া) কেভেন্টার অ্যাগ্রোর কালেকশন সেন্টার চালু হল। এসব কেন্দ্রে দৈনিক ভিত্তিতে ১৮ হাজার কৃষক কাজ করেন। কেভেন্টার অ্যাগ্রোর ডেয়ারি প্রোডাক্টগুলির মধ্যে রয়েছে পাউচ দুধ, ইউএইচটি দুধ, ফ্লেভারড দুধ, লস্যি, ইয়োগার্ট এবং আইস ক্রিম। কেভেন্টার অ্যাগ্রো এখন দৈনিক ২৫০,০০০ লিটার প্যাসচারাইজড দুধ প্রক্রিয়াকরণ করে। আগামী কয়েক মাসে পশ্চিমবঙ্গে আরও বিএমসি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে কেভেন্টার অ্যাগ্রোর। তাদের লক্ষ্য দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৪০০,০০০ লক্ষ লিটার দুধে নিয়ে যাওয়া। 




ডেয়ারি চাষিদের জীবন জীবিকার উন্নতি বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শ্রী জালান বলেন, ‘ গত ২৫ বছর আমরা এই শিল্পে রয়েছি। আমরা সব সময় গ্রাহকদের গুণমানসমপন্ন পণ্য সরবরাহ করার নীতিতে বিশ্বাস রেখেছি। সেই সব পণ্য তাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ, আমরা সব সময় কৃষক সম্প্রদায়ের জীবনের মান উন্নত করার জন্য, তাদের ক্ষমতায়নের জন্য সচেষ্ট থেকেছি। এই কালেকশন সেন্টারগুলি আমাদের সুযোগ করে দেয় চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য এবং তাঁদের পথ দেখানোর জন্য যাতে তাঁরা কৃষিকাজের আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারেন এবং আরও বেশি উৎপাদন করতে পারেন। কৃষকদের সর্বদা সেরা দাম দেওয়ার নীতিতে আস্থা রেখে এসেছে কেভেন্টার অ্যাগ্রো, এবং আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় রাজ্যজুড়ে আমরা ১৮ হাজার কৃষকের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পেরেছি। আমরা আশাবাদী যে, খড়্গপুর বাল্ক মিল্ক কালেকশন সেন্টার চালু করার ফলে আমরা এই নেটওয়ার্ক আরও বাড়াতে পারব।’