শহরাঞ্চলের পরিযায়ী শ্রমিক এবং দরিদ্রদের জন্য স্বল্পমূল্যে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার  বৈঠকে শহরাঞ্চলের পরিযায়ী শ্রমিক ও দরিদ্র নাগরিকদের জন্য অ্যাফোর্ডেবল রেন্টাল হাউজিং কমপ্লেক্স (এআরএইচসি) ব্যবস্থার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-আর্বান (পিএমএওয়াই-ইউ) প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত এআরএইচসি-র প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা গেছে। 

  • শহরাঞ্চলে সরকারি ফাঁকা আবাসনগুলিতে এআরএইচসি-র প্রকল্পটিকে ২৫ বছরের সহজ চুক্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। 
  • বাসিন্দাদের কাছ থেকে সামান্য অর্থ নেওয়া হবে, যেই অর্থ দিয়ে আবাসনের ঘরগুলিকে মেরামত করে বসবাসযোগ্য করে তোলা হবে এবং জল, পয়ঃনিষ্কাশী ব্যবস্থা ও রাস্তা নির্মাণের কাজেও ব্যয় করা হবে। 
  • রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি স্বচ্ছ নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের বাছাই করবে। 
  • এই আবাসনগুলিকে ২৫ বছর পর শহরের স্থানীয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে౼যাতে প্রশাসন আবারও নতুনভাবে সুবিধেভোগীদের বাছাই করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে।
  • বেসরকারি সংস্থাগুলি যদি তাঁদের জমি ২৫ বছরের জন্য এআরএইচসি প্রকল্পে ব্যবহার করতে দেয় সেক্ষেত্রে তাদের আবাসনে বসবাস করার অনুমতি প্রদান, ভাড়ার মূল্য নির্ধারণ, কর ছাড় সহ ইত্যাদি নানা সুযোগ সুবিধের ব্যবস্থা করা হবে।
  • নির্মাণ শিল্প, পরিষেবা প্রদানকারী, স্বাস্থ্য, বাণিজ্যিক সংস্থায় কর্মরত শ্রমিকরা এবং ছাত্র-ছাত্রী౼ যাঁরা ভাগ্যান্বেষণে ছোট শহর এবং গ্রাম থেকে বড় শহরে আসেন তাঁদের কথা বিবেচনা করে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। 
  • নির্মাণকাজে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে এই প্রকল্পে ব্যয়ের জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই তহবিলে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষ সুবিধেভোগী প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পে সুবিধে পাবেন।

কর্মক্ষেত্রের কাছাকাছি শহরাঞ্চলে থাকার ব্যবস্থার জন্য সস্তায় যাতে ঘর ভাড়া পাওয়া যায় সেই উদ্দেশে এআরএইচসি প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এর ফলে পরিযায়ী শ্রমিক ও শহরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের পক্ষে অহেতুক সফর, ভীড় এবং দূষণ এড়ানো সম্ভব হবে।