webdesk news: 

অবশেষে মিলল বড়সড় সাফল্য। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর একটি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হল কানপুরের ডন বিকাশ দুবে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে, তার খোঁজে ভারত-নেপাল সীমান্তে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের বারাইচ জেলার পুলিশ। পাশাপাশি সন্ধান চলছিল অন্য রাজ্যগুলিতেও। আর তাতেই মিলল সাফল্য। গ্রেপ্তার হল আটজন পুলিশকর্মীর খুনি বিকাশ। 


তার আগে বৃহস্পতিবার সকালে বিকাশের ঘনিষ্ঠ দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী রণবীর ও প্রভাত মিশ্রকে এনকাউন্টারে খতম করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

২ জুলাই, বৃহস্পতিবার রাতে কানপুরে এক অপরাধীকে ধরতে গেলে একদল দুষ্কৃতি পুলিশের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালালে উত্তরপ্রদেশের আট পুলিশ সদস্য দেবেন্দ্র মিশ্রসহ ৮ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কানপুরে আট পুলিশ সদস্যকে হত্যার সাথে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আদিত্যনাথ এই ঘটনার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন চেয়েছেন । জানাযায়- কয়েকজন দাগী অপরাধীদের ধরতে একটি পুলিশটিম অপারেশনে গেলে অপরাধীরা গুলি চালায়। ফলে আট পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয় - একজন ডিএসপি, তিনজন উপপরিদর্শক এবং চার কনস্টেবল। 

পুলিশ দলটি ইউপি-র কানপুরের নিকটবর্তী এলাকায় অভিযান করতে গেলে অপরাধীরা  পুলিশ দলকে ঘিরে ফেলে গুলি চালিয়েছিল।

নিহত পুলিশ আধিকারিকরা হলেন- সিও দেবেন্দ্র কুমার মিশ্র, এসও মহেশ যাদব, চৌকি ইনচার্জ অনুপ কুমার, উপ-পরিদর্শক নেবুলাল, কনস্টেবল সুলতান সিং, রাহুল, জিতেন্দ্র ও বাবলু।

ইউপি ডিজিপি এইচসি অবস্তি বলেছেন, "বিকাশ দুবেয়ের বিরুদ্ধে ৩০৭  ধারা অনুসারে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল। একটি জেসিবি সেখানে রাস্তার উপর রাখা হয়েছিল যার ফলে পুলিশের গাড়ি এগোতে পারেনি। ফলে গাড়ি থেকে ফোর্স নেমে গেলে অপরাধীরা আচমকা গুলি চালানো শুরু করে। আমাদের ৮ জন পুলিশ নিহত হয়। "