কাজল দে, ধূপগুড়ী: অবশেষে আংরাভাসা নদীর ভাঙন রোধে উদ্যোগী হল সেচ দপ্তর। কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া ভারী বৃষ্টিতে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছিল আংরাভাষা নদীতে, আর সেই নদীতে তলিয়ে যায় গয়েরকাটা চা বাগানের বিঘা লাইনের পরপর দশটি বাড়ি। আতঙ্কে অনেকেই ঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যান। এমনকি এখনও বেশ কয়েকটি বাড়ির অর্ধেকটা নদীগর্ভে চলে গিয়েছে এবং কিছুটা ঝুলে রয়েছে। যেকোনো সময়ে ফের ভারী বৃষ্টি হলে নদীর জলস্ফীতি দেখা দিলে সেই বাড়িগুলি নদীগর্ভে চলে যাবে।তাই আতঙ্কে ঘুম উড়ে গিয়েছিলো চা শ্রমিকদের। 

নদীর ভাঙন আটকাবার দাবিতে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করতেও দেখা যায় চা শ্রমিকদের। অবশেষে গয়েরকাটা চা বাগানের বিঘা লাইনের ভাঙন রোধে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সেচ দপ্তর। আজ থেকে নদীর ভাঙন আটকাতে নদীগর্ভে কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর। আর্থ রিমুভার মেশিন দিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। এমনকি  বড় বড় পাথর আনা শুরু হয়েছে নদীর পাড় বাঁধাই করবার জন্য। যাতে নতুন করে ভাঙন না দেখা দেয়। যাতে আর নতুন করে নদীতে ভাঙন তৈরি না হয় তাই গতিপথ পরিবর্তন করে তাকে অন্যত্র দিয়ে জলের স্রোত থেকে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। 



তবে ডুয়ার্সের আকাশে এখনো কালো মেঘ রয়েছে পুনরায় বৃষ্টি শুরু হলে নদীতে আবার ভাঙ্গন শুরু হবে সেই আতঙ্কেই রয়েছেন শ্রমিকরা। তাই অনেকেই ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র চলে যেতে শুরু করেছেন। চা বাগানের বাসিন্দা এবং জনপ্রতিনিধিরা চাইছেন স্থায়ীভাবে বাধ তৈরি করা হোক মধ্যে যাতে আর কখনো ভাঙ্গনের ফলে নদীগর্ভে যাতে কোনো শ্রমিক আবার চলে না যায়।