রাজ্যে করোনার সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়া আটকানোর লক্ষ্যে ২৭ মার্চ পর্যন্ত আংশিক লক-ডাউনের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। মানুষের জীবন রক্ষার্থে এই বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থার বিরোধিতা করছে না কোনও রাজনৈতিক দলই। তবে বিপন্ন সাধারণ মানুষ ও অসংগঠিত শ্রমিকদের স্বার্থে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি আজ, সোমবার সর্বদল বৈঠকে তুলতে চায় তারা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার সুর বজায় রাখার পাশাপাশিই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন প্রশ্ন তুলছে করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও।

নবান্নে আজ বিকালে করোনা-প্রশ্নে সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সময়ে কলকাতা-সহ কয়েকটি জেলায় এবং বিভিন্ন পুর-এলাকায় লক-ডাউন চালু হবে। পরিস্থিতির প্রয়োজনেই যে লক-ডাউনের পথে সরকারকে যেতে হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই বিরোধী বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি নেতৃত্বের। তবে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, এর ফলে যে অংশের মানুষ কাজে যেতে না পেরে উপার্জনহীন হয়ে পড়বেন, তাঁদের জন্য আর্থিক প্যাকেজের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। তাঁদের বক্তব্য, এই বিষয়ে কেন্দ্রের ভূমিকা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এখনও পর্যন্ত ট্রেন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা ছাড়া কেন্দ্রের তরফে তেমন কোনও নির্দিষ্ট পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না বলে তাদের অভিযোগ। 

শাসক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী ও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেসের তরফে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিজেপির তরফে জয়প্রকাশ মজুমদার ও সায়ন্তন বসুর আজ সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত থাকবার কথা জানা গেছে। 



source: anandabazar patrik