আজ বিকাল ৫টার পর থেকে লক-ডাউন প্রায় সমস্ত পশ্চিমবঙ্গ। চলবে ২৭শে মার্চ পর্যন্ত। গতকালকের নির্দেশ অনুসারে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন এলাকা লক ডাউনের আওতায় পড়েছে- 
১। কোচবিহার - জেলা শহর ২। আলিপুরদুয়ার - জেলা শহর, জওঁগাও শহর ৩। জলপাইগুড়ি - জেলা শহর ৪। কালিম্পং - জেলা শহর ৫। দার্জিলিং - দার্জিলিং, কারশিয়ং, শিলিগুড়ি শহর ৬। উত্তর দিনাজপুর - সারা জেলা ৭। দক্ষিন দিনাজপুর - জেলা শহর ৮। মালদা - সারা জেলা ৯। মুর্শিদাবাদ - সারা জেলা ১০। নদীয়া - সারা জেলা ১১। বীরভূম - পুরসভা এলাকা ১২। পশ্চিম বর্ধমান - সারা জেলা ১৩। পূর্ব বর্ধমান - জেলা শহর, কালনা শহর, কাটোয়া শহর ১৪। পুরুলিয়া - জেলা শহর ১৫। বাঁকুড়া - জেলা শহর, বারজরা শহর, বিষ্ণুপুর শহর ১৬। পশ্চিম মেদিনীপুর - জেলা শহর, খড়গপুর শহর, ঘাটাল শহর ১৭। ঝাড়গ্রাম - জেলা শহর ১৮। পূর্ব মেদিনীপুর - জেলা শহর, হলদিয়া শহর, দিঘা শহর, কোলাঘাট শহর, কাঁথি শহর  ১৯। হাওড়া - সারা জেলা 

তবে আজ কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমা আগামীকাল থেকে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করলেন বিধায়ক উদয়ন গুহ। তিনি বলেন- "গতকাল রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে কোচবিহার জেলার দিনহাটাকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়নি। যার ফলে দিনহাটা মহকুমার মানুষদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।  ফলে আজ দিনহাটার ব্যবসায়ি সমিতি থেকে শুরু করে অন্যান্য সংগঠনের সাথে, কাউন্সিলারদের সাথে জরুরি মিটিং ডাকা হয়। সেখানে তারা একবাক্যে ঘরবন্দি থাকার কথা বলেন নিজেরাই।" তাঁদের কথা মেনেই  আগামীকাল বিকাল পাঁচটা থেকে ২৭ তারিখ রাত ১২ টা পর্যন্ত দিনহাটাতেও সবরকম ব্যবসা, (মুদির দোকান, রেশন সহ জরুরি অত্যাবশ্যকীয় বিষয় বাদ দিয়ে) বন্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত দিনহাটার নাগরিকদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি। 

তিনি আরও জানান দিনহাটা পৌরসভার ক্ষেত্রে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- 
মিউটেশনের কাজ বন্ধ থাকবে। জন্ম-মৃত্যু সার্টীফিকেট প্রদান বন্ধ থাকবে। বাইরের রাজ্য থেকে যারা ফিরে আসছেন- তাঁদের প্রতি পৌরসভা নজর রাখবে বলেও জানান তিনি । 


দেখে নেওয়া যাক এক নজরে লক ডাউন হলেও কি কি পরিষেবা পাবেন রাজ্যের জনগণ- 
  1. ২৭শে মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত বহাল এই লক-ডাউন।
  2. বন্ধ থাকবে সকল গণ-পরিবহন (বাস, অটো,টোটো,ট্যাক্সি,এ-রিক্সা)।
  3. বন্ধ থাকবে সব দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অফিস (সরকারি ও বেসরকারি), গুদাম। 
  4. সমস্ত রাজ্যবাসীকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, "নিজের, নিজের পরিবারের, বাংলার লোকের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে দরকার না হলে বাইরে বেরোবেন না "।
  5.  খোলা থাকবে রাজ্যের সব রেশন দোকান। 
  6. খোলা রাখতে বলা হলো পাড়ার মুদি দোকান, সবজি, ফল, মাছ,মাংস, পাউরুটির ও নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান।
  7. হাসপাতালে যাওয়া-আসার জন্যে কলকাতায় ও রাজ্যে চলবে ট্যাক্সি, প্রাইভেট গাড়ি, এক্ষেত্রে সবরকম সহযোগিতা করবে প্রশাসন। 
  8. খোলা রাখা হবে সব পেট্রল পাম্প। 
  9. খোলা থাকছে ব্যাঙ্ক, এ টি এম। 
  10.  চালু থাকছে হোম ডেলিভারি ব্যবস্থা।
সাথে সাথে ৭ জন বা তার বেশি লোক একসাথে এক জায়গায় জমায়েত না হবার অনুরোধ করা হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বারবার।