আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গে জারি হচ্ছে 'লকডাউন' । করােনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এবার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে রাজ্য। ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
“লক ডাউনের” কথার সহজ এবং সরল উত্তর হল গৃহবন্দি। অভিধানগত অর্থ- তালাবদ্ধ ; জরুরি অবস্থায় নেওয়া একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা যখন কোনো স্থান বা ভবনে প্রবেশ করতে বা ছেড়ে যেতে বাধা দেওয়া; কাউকে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে আটকিয়ে রাখা বা ঢুকতে না দেওয়া। এই গৃহবন্দি আর পাঁচটা গৃহবন্দি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কারন এই গৃহবন্দি থেকে আমারা যেমন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচবো । ঠিক সেই রকম ভাবে আমারা এটা ছড়ানোও বন্ধ করব।
লকডাউন না মানা শাস্তিযােগ্য অপরাধ বলেও জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। বলা হয়েছে কেউ জোর করে 'লকডাউন নীতি অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে জামিন অযােগ্য ধারায় মামলা করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ১৮৮, ২৬৯, ২৭০, ২৭১ ধারা।
জানাগেছে সরকারি নির্দেশ অমান্য করার জন্য প্রযােজ্য হবে ১৮৮ ধারাও। জামিন অযােগ্য ২৬৯ ধারা কোনও সংক্রামক ব্যাধি ছড়ানাের বিরুদ্ধে। এই ধারায় কমপক্ষে দু'মাসের জেল ও জরিমানা হতে পারে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানাে হয়েছে।
জামিন অযােগ্য ২৭০ ধারা জীবনের পক্ষে বিপজ্জনক এমন সংক্রামক ব্যাধি ছড়ানাের বিরুদ্ধে। এতে দু'বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে, হবে জরিমানাও। এছাড়া রয়েছে আইপিসি ২৭১। কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙলে এই আইন প্রযােজ্য। এতে ছ'মাসের জেল হতে পারে।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে বলা হয়েছে- "কোন অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। সেরকম পরিস্থিতি দেখলে, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে খবর দিন।"
সংবাদ একলব্য সংবাদটী সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজফিড থেকে সংগৃহীত।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে বলা হয়েছে- "কোন অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। সেরকম পরিস্থিতি দেখলে, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে খবর দিন।"
সংবাদ একলব্য সংবাদটী সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজফিড থেকে সংগৃহীত।
Social Plugin