শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ নীতির বিরোধী ছিল। কেন্দ্রের ঘোষণার পরই রাজ্যজুড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সিএএ-র বিরোধিতায় গত ডিসেম্বর মাস থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

রাজ্যের একাধিক জায়গায় এই আইনের প্রতিবাদে মিছিলও করেছেন তিনি। সব রাজনৈতিক দলকে এই প্রস্তাব সমর্থনের বার্তা দিয়েছিলেন এমনকি প্ৰধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও এই আইন ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা। সিএএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাগাতার বিরোধিতায় আঁচ কেন্দ্রেও পৌঁছে গিয়েছিল। অমিত শাহ প্রকাশ্যে বিতর্কের আহ্বান জানিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জিকে। এরপরই সিএএ বিরোধী প্রস্তাব রাজ্যসভায় পাস করানোর সিদ্ধান্ত নেন মমতা।
   
     অবশেষে রাজ্যের সেই বিরোধিতায় সিলমোহর পড়লো। রাজ্য বিধানসভায় পাস হয়ে গেল সিএএ বিরোধী প্রস্তাব। কেরল, পাঞ্জাব এবং রাজস্থান এর পর পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ রাজ্য যে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস করালো। এর পর তেলঙ্গানাও এই প্রস্তাব পাস করাতে চলেছে বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন।