দীর্ঘদিন ধরে এই বিজিটিএ নামক সংগঠনটি গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে চলেছে। তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় গ্রাজুয়েট শিক্ষকরা আজ তাদের কাঙ্খিত ফল পাওয়ার দোরগোড়ায় দাড়িয়ে। কিন্তু তাদের এই প্রচেষ্টার মাঝখানে রাজ্যসরকার বার বার বাধা হয়ে দাড়িয়েছে।

রাজ্যসরকার গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার পাশাপাশি তারা যাতে সমাবেশ,মিটিং,মিছিল করতে না পারে তার চক্রান্তও সুকৌশলে করে গিয়েছেন। এমন কি আদালতের রায়কেও বিভিন্ন ভাবে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। 

সম্প্রতি পে কমিশনের বিরুদ্ধে করা আদালত অবমাননা মামলায় বিজিটিএর তীব্র লড়াই রাজ্যসরকারকে যোগ্য জবাব দিয়েছে। 

অপরদিকে জানা যাচ্ছে যে,বিজিটিএর তরফে সমাবেশ করার জন্য দুই দুই বার বিধাননগর পুলিশ কমিশনার এবং কোলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে।কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সভার অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছে না পুলিশ প্রশাসন। কেন বার বার আবেদন করা সত্বেও অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না? 
তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই সমাবেশের অনুমতি আদায় করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হল বিজিটিএ সংগঠনকে। সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের মতে,পুলিশ প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় তারা বিকাশ ভবনের সামনে টানা ধর্নার আবেদন জানিয়ে আদালতে পিটিশন দায়ের করেছেন। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে,আদালত খুব শীঘ্রই তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার্থে এই ধর্না মঞ্চের অনুমতি প্রদান করবে।

এদিকে BGTA এর দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলাটি হিয়ারিং এর জন্যে উঠেছিল গত ২১শে জানুয়ারী ২০২০, কলকাতা হাইকোর্টের ৩৯ নং কোর্টে মাননীয়া বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য্যের এজলাসে। সওয়াল-জবাবে সরকারি আইনজীবী নাস্তানাবুদ হন এবং মহামান্য বিচারপতির দ্বারা তিরস্কৃত হন বলে সংগঠন সূত্রে জানা গেছে। বিচারপতি ১১ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশোধিত প্রকৃত হলফনামা যা মামলার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ তা জমা দিতে বলেন অথবা পে কমিশনের চেয়ারম্যান/মেম্বার সেক্রেটারিকে কোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। 

একই সাথে চলছে সমাবেশের প্রস্তুতি। সবমিলিয়ে খুব শীঘ্রই রাজ্যে বিজিটিএ সংগঠন দ্বারা বড়সড় প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত হতে চলেছে বলে অভিজ্ঞমহলের অনুমান।