রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এবং সকালে ঘুম থেকেই উঠেই সবার আগে যে বস্তুটি আমাদের হাতে তুলে নেই সেটি হলো আমাদের স্মার্টফোন। ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার এই স্মার্টফোনেই।
টাচ করলেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে বন্ধুদের সঙ্গে, একটি ভিডিও কলেই দেখা যাচ্ছে প্রিয় মুখ। এতসব সুবিধা ছেড়ে দূরে থাকতে কে-ই বা চায়! তাই ধীরে ধীরে স্মার্টফোনকেই সঙ্গী করে অভ্যাস্ত হয়ে উঠি আমরা। বর্তমান সময়ে যোগাযোগের সুবিধার ক্ষেত্রে এর অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু সেইসঙ্গে এই মোবাইল ফোনই যে হয়ে উঠছে আপনার ক্ষতির কারণ, সে খবর কি রাখেন?
সারাক্ষণ মোবাইল ব্যবহারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের হাতের বুড়ো আঙুল। সে প্রথমে জানান দেবে ব্যথার মাধ্যমে, তারপরও সচেতন না হলে কিন্তু প্যারালিসিসের শিকার হতে পারেন। এই অসুখের পোশাকী নাম 'নাম্ব থাম্ব'। চিকিত্সা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে 'ব্ল্যাকবেরি সিনড্রোম' বা 'ওভার ইউস সিনড্রোম'-ও বলা হয়। এই অসুখের বেশ কিছু প্রাথমিক লক্ষণ আছে।
অস্থি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বুড়ো আঙুলের গোড়ার দিকে শুরু হবে ব্যথা। চিকিত্সা না করালে ব্যথা বেড়ে আঙুল ঝিমঝিম করে প্রায়ই অবশ হবে। আঙুল ভাঁজ করতে অসুবিধা হবে। আঙুল থেকে ব্যথা উঠতে পারে হাতের কব্জির দিকেও। ফলে গ্রিপিং-এ আসতে পারে সমস্যা।
নাম্ব থাম্ব হলে দ্রুত নিতে হবে চিকিত্সকের পরামর্শ। মূলত কিছু পেন রিলিভার দিয়ে চিকিত্সা চালানো হয়। সঙ্গে চলে আঙুলের বিশ্রাম। সমস্যা আয়ত্তে না এলে নিতে হবে ফিজিওথেরাপি। চলবে চিকিত্সকের নির্দেশে ঘরোয়া ব্যায়ামও করতে পারেন। পরতে হতে পারে ফিঙ্গার ক্যাপ বা স্প্লিন্ট। তাতেও সমস্যা সমাধান না হলে অস্ত্রোপচারই শেষ ভরসা।
অসুখ এড়াতে তাই প্রথমেই কমিয়ে দিতে হবে ফোন ঘাঁটার বদ অভ্যাস। অফিস ও বাড়িতে লেখার টেবিলে এক্সারসাইজ বল। প্রতি ১৫-২০ মিনিট অন্তর ১০-১২ বারের জন্য চাপ দিন বলটিতে। এতে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আঙুলের ব্যায়াম করলে সুস্থ থাকবেন।
source: deshbideshe
source: deshbideshe
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊