সংবাদ একলব্য, ২৩ আগস্টঃ বিগত প্রায় ১৯ দিন ধরে ভয়াবহ দাবানলে আমাজনের জঙ্গল পুড়ছে। পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয় যাকে, যে জঙ্গল পৃথিবীর ২০% অক্সিজেন প্রদান করে, যার কারনে পৃথিবীর ১০% জীব বৈচিত্র্য সম্পন্ন হয়, যার কারনে পৃথিবীর ক্লাইমেট অনেকাংশে নির্ভর করে, সেই জঙ্গল জ্বলছে, পুড়ে খাক হচ্ছে গাছপালা, জীব-জন্তু, অথচ সেভাবে মিডিয়ার কভারেজ নেই, মানুষের ভ্রুক্ষেপ নেই এবং আগুন নেভাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ব্রাজিল সরকারের পক্ষ থেকে ।
আমাজন এমন ভয়বাহ অগ্নিকান্ডের সাক্ষ্যি এই প্রথম। এর আগে এমন ভয়াবহ দাবানল দেখা যায়নি । দিন যত যাচ্ছে আতঙ্ক ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বলিভিয়ার রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস আগেই সাহায্যের কথা বলেছিল ব্রাজিলকে। কিন্তু তখনও সে ভাবে নড়ে বসেনি ব্রাজিলের সরকার। এবার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই দাবানলের এই ছড়িয়ে পড়া রুখতে সুপার ট্যাঙ্কার বোয়িং বিমান ৭৪৭ ভাড়া করার কথা ঘোষণা করেন ইভো। শুক্রবার থেকেই আগুন আয়ত্বে আনতে আকাশ পথে ওই ট্যাঙ্কার নিয়ে অভিযান শুরু হয়েছে।
নির্দিষ্ট ওই জলবাহী ‘সুপার ট্যাঙ্কার’টি-তে সব চেয়ে বেশি জল ধরে। ১১৫ হাজার লিটার জল নিয়ে উড়তে পারে সেটি। আগুনে পুড়তে থাকা আমাজন জঙ্গলের উপরে ওই বিমান থেকেই জল ঢালা হবে। ট্যাঙ্কারটি ওড়ার আগে একটি বায়ুসেনার বিমান উড়ে গিয়ে চিহ্নিত করে নেয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি। তার পরে সেই অঞ্চল দিয়ে জল ঢালতে ঢালতে উড়ে যায় ‘সুপার ট্যাঙ্কার’। এই ট্যাঙ্কারের সঙ্গে আছে তিনটি অতিরিক্ত হেলিকপ্টার। আছেন ৫০০ জন ফায়ার ফাইটার সেনা, যাঁরা প্রয়োজনে জঙ্গলে নেমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
দক্ষিণ আমেরিকায়, আমাজন নদীর অববাহিকায় প্রায় ৫৫ লক্ষ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত আমাজন রেনফরেস্ট। গত আট মাসে সেখানে ৭২ হাজারটি দাবানল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাতেই জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে বিশ্বের ফুসফুস। কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে আকাশ জুড়ে। ন’টি দেশ– ব্রাজিল, পেরু, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গায়ানা, সুরিনাম ও ফরাসি গায়ানা জুড়ে ছড়িয়ে এই বনভূমি।
এখানে প্রায় তিন মিলিয়ন প্রজাতির গাছপালা এবং প্রাণী এবং এক মিলিয়ন আদিবাসী মানুষের আবাস রয়েছে। এই দাবানল এতই বীভৎস যে স্পেস থেকে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে, ১৭০০ কিমি দূরে পর্যন্ত ছাই উড়ে যাচ্ছে। ব্রাজিলের শুকনো মরসুমে প্রায়শই ওয়াইল্ডফায়ার দেখা দেয় তবে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে গবাদি পশু পালনের জন্য অবৈধভাবে জমি বন তৈরি করার উদ্যেশ্যে। গত বুধবার ব্রাজিলের পরিবেশমন্ত্রী রিকার্ডো সেলস টুইট করেছেন যে শুকনো আবহাওয়া, বাতাস এবং উত্তাপের কারণে আগুন লেগেছে। তবে সিএনএন আবহাওয়াবিদ হ্যালি ব্রিংক বলেছিলেন যে আগুন "নিশ্চিতভাবেই মানুষ দ্বারা পরিচালিত,"।
এখানে প্রায় তিন মিলিয়ন প্রজাতির গাছপালা এবং প্রাণী এবং এক মিলিয়ন আদিবাসী মানুষের আবাস রয়েছে। এই দাবানল এতই বীভৎস যে স্পেস থেকে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে, ১৭০০ কিমি দূরে পর্যন্ত ছাই উড়ে যাচ্ছে। ব্রাজিলের শুকনো মরসুমে প্রায়শই ওয়াইল্ডফায়ার দেখা দেয় তবে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে গবাদি পশু পালনের জন্য অবৈধভাবে জমি বন তৈরি করার উদ্যেশ্যে। গত বুধবার ব্রাজিলের পরিবেশমন্ত্রী রিকার্ডো সেলস টুইট করেছেন যে শুকনো আবহাওয়া, বাতাস এবং উত্তাপের কারণে আগুন লেগেছে। তবে সিএনএন আবহাওয়াবিদ হ্যালি ব্রিংক বলেছিলেন যে আগুন "নিশ্চিতভাবেই মানুষ দ্বারা পরিচালিত,"।


0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊