Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

নন্দীগ্রাম ভোট-পরবর্তী হিংসা, তৃণমূলের ৪২ নেতা-কর্মীকে সুপ্রিম কোর্টের শোকজ নোটিশ

নন্দীগ্রাম ভোট-পরবর্তী হিংসা, তৃণমূলের ৪২ নেতা-কর্মীকে সুপ্রিম কোর্টের শোকজ নোটিশ

Nandigram vote violence, Supreme Court showcause, TMC leaders, Sekh Sufian, Abu Taher, Debabrata Maiti murder, CBI investigation, case transfer Jharkhand court, Kolkata High Court, political tension Nandigram, Subhendu Adhikari reaction, TMC legal support, Supreme Court notice


সংবাদ একলব্য: নন্দীগ্রামের ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির খুনের ঘটনায় গুরুতর পদক্ষেপ নিল দেশের শীর্ষ আদালত। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ান, আবু তাহের সহ মোট ৪২ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে শোকজ নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বদলে ঝাড়খণ্ডের আদালতে স্থানান্তরিত করার আবেদনের ভিত্তিতেই এই নোটিশ জারি করা হয়েছে।

গত ১০ই নভেম্বর এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আইনজীবী মুকেশ কুমার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান, দেবব্রত মাইতি খুনের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বদলে ঝাড়খণ্ডের আদালতে স্থানান্তরিত করা হোক। এই আবেদনের ভিত্তিতেই ১৯শে নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ওই ৪২ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে শোকজ করে নোটিশ জারি করে।

নোটিশে অভিযুক্তদের এক মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিজেদের বক্তব্য বা কোনো আবেদন থাকলে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, কেন মামলাটি স্থানান্তরিত করা হবে না, সেই বিষয়েও তাঁদের মতামত জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তরা এই নোটিশের কপি হাতে পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের এই নোটিশ জারির পর থেকেই নন্দীগ্রামের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম, নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহের এই নোটিশ প্রসঙ্গে বলেন, "বিধানসভা ভোটের আগে এটা পরিকল্পনা করে আমাদের প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।" তিনি এটিকে চক্রান্ত হিসেবেই দেখছেন।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আদালতের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "আদালত সঠিকভাবে এই কথা বলেছেন। খুনের আসামীরা নন্দীগ্রামে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সিবিআই যদি এদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা চরম শাস্তি দিতে না পারে, তাহলে দেবব্রত মাইতির মতো খুন বন্ধ করা যাবে না।"

তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায় জানিয়েছেন, "সরকারের পক্ষ থেকে এবং দলের পক্ষ থেকে এদেরকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।"

অন্যদিকে, নিহত দেবব্রত মাইতির স্ত্রী এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন যে, "সিবিআইয়ের কাজ তারা করছে। আমি চাই এই ঘটনায় যারা জড়িত তারা যেন শাস্তি পায়।"

এই মুহূর্তে সকলের নজর অভিযুক্তদের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং সুপ্রিম কোর্টে তাদের প্রতিক্রিয়ার দিকে। মামলা স্থানান্তরের বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালত কী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই এখন দেখার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code