শীত নেমে আসতেই গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজে পরিযায়ী পাখির মেলা ! ভিড় উপচে পড়ছে প্রকৃতিপ্রেমীদের
শীতের আমেজ শুরু হতেই গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ যেন আবারো পরিণত হয়েছে পরিযায়ী পাখির স্বর্গভূমিতে। বছরের এই সময়টিতে দূর দেশ থেকে নানা প্রজাতির পাখির আগমনকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে পর্যটক প্রকৃতিপ্রেমী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। আকাশে ডানা মেলা পাখিদের সারি জলে ভেসে থাকা বিভিন্ন রঙের ডানাওয়ালা পাখিরা সব মিলিয়ে ছবির মতো এক মনোরম পরিবেশ তৈরি হয়েছে গাজলডোবায়।
পরিবেশ প্রেমী ও স্থানীয় বাসিন্দাররা জানান সাইবেরিয়া সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার পাখি শীতের তীব্রতা এড়িয়ে উড়ে আসে এই অঞ্চলে। গাজলডোবার জলাভূমি নীরবতা প্রচুর খাদ্য এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে প্রতি বছরই তাদের আকর্ষণ করে। শীত পড়তেই এদের পালকেও হালকা রঙের পরিবর্তন দেখা যায় যা শীতকালীন অভিযোজনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
নভেম্বর থেকে শুরু করে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ মাস পর্যন্ত প্রায় তিন চার মাস ধরে এই পাখিরা থাকে গাজলডোবা অঞ্চলে। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে তাদের দলের পর দল উড়ে যাওয়ার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন। বনদপ্তর এবং স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা পাখিদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক। তারা জানান পাখিদের যাতে কোনোভাবে বিরক্ত বা আতঙ্কিত না করা হয়। সেজন্য নজরদারি ও সচেতনতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে পর্যটকদের প্রতি অনুরোধ পাখি দেখার আনন্দ নিন। কিন্তু প্রকৃতি ও পাখিদের স্বাভাবিক জীবনচক্র যেন ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করুন গাজলডোবায় শীতের এই পরিযায়ী পাখিরা শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্যই বাড়ায় না বরং এলাকাকে পরিণত করে উত্তরবঙ্গের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণে। পাখির ডাক নদীর সৌন্দর্য আর শীতের ঠান্ডা হাওয়া—সব মিলিয়ে এখন গাজলডোবা যেন এক জীবন্ত প্রকৃতি উৎসব।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊