বকেয়া মজুরি ও বোনাসের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ডুয়ার্সের মাল ব্লকের বাগরাকোট চা বাগান
বকেয়া মজুরি ও বোনাসের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ডুয়ার্সের মাল ব্লকের বাগরাকোট চা বাগান। সোমবার থেকে টানা রিলে অনশনে বসেছেন বাগান শ্রমিক ও কর্মচারীরা। আন্দোলনের তৃতীয় দিনে, বুধবার, অনশন মঞ্চে এসে শ্রমিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মনোজ টিগ্গা।
চা বাগানের শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বেতন বকেয়া পড়ে রয়েছে। শ্রমিকদের ছয়টি পাক্ষিক মজুরি, পাশাপাশি গত মরসুমের পুজোর বোনাস এখনো কিছু বাকি আছে। কর্মচারীদের অবস্থা আরও কঠিন তাদের দুই মাসের বেতন আটকে আছে বলে অভিযোগ। শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা জানান, বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হলেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে রিলে অনশন শুরু করতে হয়েছে বলে জানান বাগানের শ্রমিক লরেন্তুষ লাকড়া, পুর্নিমা মাহালিরা।
অনশনস্থলে এসে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ মনোজ টিগ্গা। শ্রমিকদের সব দাবির সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে তিনি জানান, “মজুরি না পেলে শ্রমিকরা পরিবার চালাবেন কীভাবে? এতদিন কাজ করেও তারা বেতন পাচ্ছেন না এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
তিনি আরও জানান, সম্মেলন টি বেভারেজের অধীনে ডুয়ার্সে মোট ১২টি চা বাগান রয়েছে, এবং প্রায় প্রতিটি বাগানেই মজুরি সংক্রান্ত সমস্যা প্রকট। অনশন মঞ্চ থেকেই তিনি বাগান মালিকপক্ষের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। টিগ্গা বলেন, কর্তৃপক্ষ সময় চেয়েছে, তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন “ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে উঠবে।”
এদিকে অনশনরত শ্রমিকদের দাবি, যতদিন না বকেয়া মজুরি ও বোনাস দেওয়া হচ্ছে, ততদিন আন্দোলন চলবে। বাগান চত্বরে উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিগত কয়েক বছর ধরে ডুয়ার্স অঞ্চলের বেশ কিছু চা বাগানে আর্থিক সংকট ও মজুরি সমস্যার কারণে শ্রমিকদের দুরবস্থা বাড়ছে। বাগরাকোট চা বাগানের এই আন্দোলন সেই বৃহত্তর সংকটের নতুন ছবি তুলে ধরেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊