সাবধান! আপনার শিশুকে কাশির সিরাপ খাওয়ানোর আগে জেনেনিন WHO এর এই সতর্কতা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের তিনটি ব্র্যান্ডের কাশির সিরাপকে কেন্দ্র করে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে। এই সতর্কতা আসে এমন এক সময়, যখন মধ্যপ্রদেশে ৫ বছরের কম বয়সী ১৭ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে, যাদের প্রত্যেকেই এই সিরাপগুলোর একটি বা একাধিক গ্রহণ করেছিল।
WHO জানিয়েছে, এই সিরাপগুলোর মধ্যে রয়েছে কোল্ড্রিফ (Coldrif), রেসপিফ্রেশ TR (Respifresh TR) এবং রিলাইফ (Relife)। এগুলো যথাক্রমে শ্রীসান ফার্মাসিউটিক্যালস, রেডনেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস এবং শেপ ফার্মা নামক সংস্থার তৈরি। সিরাপগুলোর নির্দিষ্ট ব্যাচে ডায়েথিলিন গ্লাইকোল (DEG) এবং ইথিলিন গ্লাইকোল (EG) নামক দুটি বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা মানবদেহে প্রবেশ করলে কিডনি বিকল, স্নায়বিক সমস্যা এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা CDSCO WHO-কে জানিয়েছে যে এই সিরাপগুলো ভারত থেকে রপ্তানি করা হয়নি এবং অবৈধভাবে রপ্তানির কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে WHO-এর আশঙ্কা, এই সিরাপগুলো হয়তো সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বা অনিয়ন্ত্রিত বাজারে ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাই তারা সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে সতর্ক করেছে এবং অনুরোধ করেছে, যদি এই সিরাপগুলোর কোনও ব্যাচ কোথাও পাওয়া যায়, তাহলে WHO-কে অবহিত করতে হবে।
WHO-এর পরামর্শ অনুযায়ী, এই সিরাপগুলো যেন শিশুদের দেওয়া না হয় এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এই ধরনের বিষাক্ত ওষুধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।
এই ঘটনার পর, সংশ্লিষ্ট ভারতীয় রাজ্যগুলিতে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিছু কারখানা ইতিমধ্যেই সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাচ নম্বরের ওষুধ বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কাজ চলছে।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, শিশুদের জন্য ব্যবহৃত ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারি কতটা জরুরি। WHO এবং CDSCO-এর যৌথ পদক্ষেপের ফলে এই বিষাক্ত সিরাপের প্রভাব সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে, তবে এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊