Sheikh Hasina: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় ১৩ নভেম্বর: ICT-1 এর ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বাংলাদেশ
২০২৪ সালের জুন মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্র-যুব আন্দোলন জুলাই-আগস্টে রূপ নেয় এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানে। আন্দোলনটি প্রথমে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে হলেও দ্রুত তা বিস্তৃত হয় সরকারের স্বৈরাচারী আচরণ, দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে। এই গণআন্দোলনের চাপে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দীর্ঘমেয়াদি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়।
আন্দোলনের সময় সংঘটিত নিপীড়ন, গুম, নির্যাতন এবং হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (ICT-1) শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আরও দুইজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা গ্রহণ করে। বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০২৫ সালের ২৩ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করে ১৩ নভেম্বর।
ICT-1-এর প্রধান বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে বিচার সম্পন্ন হয়। প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে উসকে দিয়ে গৃহযুদ্ধ শুরু করার চেষ্টা করেছিলেন, যা ব্যর্থ হয় দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর কারণে।
এই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, তরুণ চাকরিপ্রার্থী এবং নাগরিক সমাজ। তারা সোচ্চার হন কোটা ব্যবস্থার বৈষম্য, প্রশাসনিক দুর্নীতি, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে। আন্দোলনের সময় বহু বিক্ষোভকারী নিখোঁজ হন, অনেকে নির্যাতনের শিকার হন, যা ICT-1-এর মামলার মূল ভিত্তি।
আওয়ামী লীগের পতনের পর নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে নতুন প্রশাসন ICT-1-এর বিচার প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দেয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊