সরকারি চাকরির আড়ালে গোপন বিদেশি চাকরি, তদন্তে বেরিয়ে এল রাষ্ট্রীয় তহবিল চুরির চাঞ্চল্যকর তথ্য
নিউ ইয়র্কে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি, মেহুল গোস্বামী (৩৯), গ্র্যান্ড লারসেনি (Grand Larceny) মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি নিউ ইয়র্ক স্টেট অফিস অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেস (ITS)-এ রিমোট কর্মচারী হিসেবে কাজ করার সময় গোপনে মাল্টার একটি কোম্পানিতে পূর্ণকালীন চাকরি করছিলেন। এই দ্বৈত চাকরির মাধ্যমে তিনি নিউ ইয়র্ক রাজ্যের তহবিল থেকে ৫০,০০০ ডলারেরও বেশি অর্থ (প্রায় ₹৪৪ লক্ষ) আত্মসাৎ করেছেন।
সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের অফিস এবং নিউ ইয়র্ক স্টেট ইনস্পেক্টর জেনারেলের যৌথ তদন্তে এই চুরির ঘটনা সামনে আসে। একটি অজ্ঞাত সূত্র থেকে পাওয়া ইমেইলের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে গোস্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ডিগ্রির গ্র্যান্ড লারসেনির অভিযোগ আনা হয়েছে, যা নিউ ইয়র্ক আইনে Class C felony হিসেবে গণ্য হয় এবং সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
নিউ ইয়র্ক স্টেট ইনস্পেক্টর জেনারেল লুসি ল্যাং বলেন, “সরকারি কর্মচারীদের উপর জনগণের আস্থা থাকে। মেহুল গোস্বামীর এই alleged আচরণ সেই বিশ্বাসের গুরুতর লঙ্ঘন।” তিনি আরও জানান, এই ধরনের আচরণ শুধু আইন ভঙ্গ নয়, বরং নৈতিকতারও চরম অবনতি।
‘মুনলাইটিং’—অর্থাৎ একটি চাকরির পাশাপাশি গোপনে অন্য চাকরি করা—সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। যদিও কিছু ক্ষেত্রে এটি অনুমোদিত, সরকারি চাকরিতে এটি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। গোস্বামীর এই দ্বৈত চাকরি নিউ ইয়র্ক স্টেটের শ্রমনীতি ও নৈতিক আচরণবিধির পরিপন্থী বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊