Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

রাজগঞ্জে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা: আহত অন্তত ২৫ শ্রমিক, বিহারে ইটভাটায় কাজে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পরিণতি

রাজগঞ্জে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা: আহত অন্তত ২৫ শ্রমিক, বিহারে ইটভাটায় কাজে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পরিণতি

rajganj-bus-accident-25-workers-injured-bihar-brickfield-journey


জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ এলাকায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন অন্তত ২৫ জন শ্রমিক। শুক্রবার গভীর রাতে রাজগঞ্জের গন্ডারমোড় সংলগ্ন এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, শ্রমিকরা আসামের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিহারের ইটভাটায় কাজ করতে যাচ্ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রমিকবাহী বাসটিতে মোট ৬২ জন যাত্রী ছিলেন। বাসটি আসাম সীমান্তের জাড়াই মোড় থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। রাত আনুমানিক ১২টার পরে, রাজগঞ্জের গন্ডারমোড় এলাকায় বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। ধাক্কার তীব্রতায় বাসের সামনের অংশ সম্পূর্ণরূপে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় এবং বহু শ্রমিক বাসের ভেতরে আটকে পড়েন।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাজগঞ্জ থানার পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ এবং স্থানীয়দের সম্মিলিত চেষ্টায় আহতদের উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। সামান্য আঘাতপ্রাপ্তদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও, গুরুতর আহত ২৫ জন চিকিৎসাধীন।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, চালক ঘুমের ঘোরে নিয়ন্ত্রণ হারানো এবং অসতর্কতার কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ।

আহত শ্রমিকদের অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা পেটের টানে বিহারের ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর শারীরিক কষ্টের সঙ্গে তাঁদের মনে নতুন করে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে—এই অবস্থায় তাঁরা কবে কাজে যোগ দিতে পারবেন।

আহত এক শ্রমিক বলেন, “বাসের মধ্যে সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। দেখি বাসের ভেতর চিৎকার চেঁচামেচি, কারও মাথা ফেটেছে, কেউ পা ভেঙেছে। এখন জানি না কী করব, টাকা তো আগেই নিয়েছি।”

জীবন-জীবিকার তাগিদে দূর রাজ্যে যাওয়ার পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শ্রমিক পরিবারগুলির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code