Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

দেবী লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করতে যে দুটি প্রসাদ রাখতেই হয় , জানেন কি?

কোজাগরী রাতেই পৃথিবী পরিক্রমা করেন দেবী লক্ষ্মী, তার পূজায় এই দুটি প্রসাদ হিসাবে রাখতেই হয়

লক্ষ্মী পূজার প্রসাদ, কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার নিয়ম, লক্ষ্মী পূজার নিয়ম, লক্ষ্মী পূজা,



-ড. শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

দেবী আসবেন। তাই রাত জাগা - ‘’নিশীথে বরদা লক্ষ্মীঃ জাগরত্তীতিভাষিণী/তস্মৈ বিত্তং প্রযচ্ছামি অক্ষৈঃ ক্রীড়াং করোতি যঃ।‘’

বৈকুণ্ঠ ছেড়ে তাঁর এই আসা - শুধুমাত্র আসা নয় - কৃপাবর্ষণ। তাই শারদ পূর্ণিমার রাতে তাঁর আগমনের অপেক্ষায় রাত জাগা।

এই কোজাগরী রাতেই পৃথিবী পরিক্রমা করেন দেবী লক্ষ্মী। নারকেলের জল পান করে জেগে আছেন যে ভক্তরা - তাঁদের কৃপা করেন হরিপ্রিয়া।

প্রচলিত বিশ্বাস - স্বয়ং কুবের এই পূর্ণিমায় এভাবেই দেবীর আরাধনা করেছিলেন। তাই এভাবেই বিত্ত বাসনায় দেবী আরাধনার রীতি।

মা লক্ষ্মীর এই পুজোয় ধানের শিস রাখা হয়। দেবী লক্ষ্মীর এক হাতে তা শোভিত হয়। ধান ছাড়াও রাখা হয় কয়েন, পান, কড়ি, ঘট, হলুদ, আতপ চাল, ঘি, দই, মধু ইত্যাদি। মা লক্ষ্মীর পদ চিহ্ন আঁকা হয় ঘরের দোরগোড়ায়। 

এই শারদ পূর্ণিমার রাতে দেবী পুজোর একটি অন্যতম প্রধান অঙ্গ নারকেলের নাড়ুও। সাধারণভাবে দেখা যায় দেবী লক্ষ্মীকে এদিন যে নাড়ু দেওয়া হয় তার রং হয় সাদা। কারণ এই নাড়ু তৈরিতে গুড় নয় - ব্যবহার করা হয় মিছরি। লোক বিশ্বাস - এই সাদা নারকেল নাড়ু দিলে দেবী প্রসন্ন হন। দেবী লক্ষ্মীর কৃপায় সংসারে সমৃদ্ধি আসে। লক্ষ্মী পুজোয় নারকেল, পদ্ম, দই, মিষ্টি তো থাকেই। থাকে তিলের নাড়ু। সঙ্গে থাকে ফলমূলও। আর এরই পাশাপাশি দেবী লক্ষ্মীর পুজোর থালায় থাকে এই নারকেলের নাড়ু।

এদিন অনেক পরিবারে দেবীকে ক্ষীর দেওয়ার রীতি আছে। আবার, অনেক পরিবারে পারিবারিক আচার অনুসারে - বেশ কিছু প্রচলিত নিয়ম মেনে এই শারদ পূর্ণিমায় খোলা আকাশের নিচে পায়েস রাখার ঐতিহ্য আছে। তাঁদের বিশ্বাস - এই রাতে চাঁদের আলো থেকে অমৃত ক্ষরণ হয়। সেই অমৃত মিশে যায় এই পায়েসের সঙ্গে। তাই এই পায়েস গ্রহণ করলে সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘ জীবন লাভ হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code