প্রাথমিকে 'দুর্নীতি' হয়নি, আদালত তদন্তকারী সংস্থার মতো কাজ করছে, দুর্নীতি প্রমান হয়নি, সওয়াল পর্ষদের 

Calcutta Highcourt


প্রাথমিক 'দুর্নীতি'-কে 'দুর্নীতি' বলতেই নারাজ পর্ষদ। আজ কলকাতা হাইকোর্টের শুনানি ছিল প্রাথমিক নিয়োগ 'দুর্নীতি'-র মামলার। এই মামলার শুরু থেকে আজ ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীরা তাঁরা নিজেদের সওয়াল জবাব পেশ করেছেন।

পর্ষদের আইনজীবী প্রাথমিক 'দুর্নীতি'-কে 'দুর্নীতি' বলতেই রাজি নন। তাঁরা বলছেন যে, এটা কোনও দুর্নীতি নয়, অভিযোগ যদি এটাও ওঠে যে, কোনও নিয়ম মানা হয়নি, সেটাও কিন্তু দুর্নীতির সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠেছে, তবে এটা দুর্নীতি নয়। নিয়ম না মেনে এই ধরণের একটা নিয়োগ প্রক্রিয়া, সংগঠিত হয়েছে, যার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল, সেটা কোনও দুর্নীতি হয়নি বলে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আজ আদালতে সেই বক্তব্য পেশ করা হয়েছে। এমনকি নিয়ম না মানার অভিযোগ মানতেও নারাজ পর্ষদ।

পর্ষদের আইনজীবী কিশোর দত্ত আদালতে বলেন, কিছু পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু তা বলে পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়া কলুষিত হয়েছে, এটা বলা যায় না। দুর্নীতির নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ ছাড়াই ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে হাই কোর্টের তৎকালীন সিঙ্গল বেঞ্চ। কয়েক জন আধিকারিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। কিন্তু তাঁরা টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। পর্ষদের প্রশ্ন, ‘‘ইন্টারভিউতে যাঁদের বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে, তাঁরা কি সকলে দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন? তাঁরা কাকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, এমন কোনও তথ্য আদালতের সামনে আসেনি।’’ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) বলেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থার মতো কাজ করেছে আদালত। অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নিয়ে পরীক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বিচারপতি।’’

যারা মূল মামলা করেছিলেন তারা অপ্রশিক্ষিত এবং অযোগ্য, সওয়াল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কিশোর দত্তের । বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত করেছিলেন সেটা যে আইন মেনে হয়েছে। সেটাই আদালতের সামনে আপনাদের প্রমাণ করতে হবে বলেই জানান।

সওয়াল শেষে আদালত জানায়, গরমের ছুটির পরে আবার এই মামলার শুনানি শুরু হবে। পর্ষদের তরফে আরও দু’দিন সওয়াল করার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। আগামী ১২ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।