মালদহে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ যুবকের ভাইরাল ভিডিও
রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ির কাগজপত্র চেক করার সময় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ।এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং ১ পুলিশ অফিসারের সাথে বচসা ধাক্কাধাক্কি। পরে মোথাবাড়ি থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মোথাবাড়ি থানার গীতা মোড় এলাকায়।পুলিশের গাড়ির কোন বৈধ কাগজপত্র নেই।তাড়াই আবার জন সাধরনের গাড়ি ধরে ফাইন কাটছে এমনি ভিডিও ছবি ভাইরাল মালদহের মোথাবাড়ি এলাকায়।সম্প্রতি পুলিশকে মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি।সপ্তাহ না ঘুরতেই আক্রান্ত পুলিশ।রাজ্যের সেচ মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিধানসভা মোথাবাড়ি এলাকায় এবারে আক্রান্ত হতে হলো পুলিশকে।যদিও এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়,মালদহের মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের গীতা মোড় এলাকায় নাকা চেকিং চালাচ্ছিল পুলিশ।সেই সময় একজন সেই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ ভিডিও করতে শুরু করে।তখনই এক সিভিক তাকে লাইভ করতে নিষেধ করে।এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বেধে যায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মোথাবাড়ি থানার আই সি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতার হাতে আক্রান্ত হয় মোথাবাড়ি থানার এক পুলিশ আধিকারিক রেজাউল করিম।পুলিশ এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক যুবক পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে এই ভিডিও করতে শুরু করে।পুলিশ যে গাড়িতে করে নাকা চেকিং করছিল সেই গাড়ির ইন্সুরেন্স সহ সমস্ত কিছু ফেল রয়েছে অথচ পুলিশ অবৈধ ভাবে স্থানীয়দের গাড়ি দাঁড় করিয়ে টাকা তুলছে বলে ভিডিওতে দাবি করে সেই ব্যক্তি।তাতেই কয়েকজন সিভিক পুলিশ বাধা দিলে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে এই ঘটনার পর একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ ভূয়ো ভোটার চিহ্নিতকরণ নিয়ে মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল।আর সেখানেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন তিনি বলেছিলেন পুলিশ প্রশাসন নিয়ে বহু জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে। পুলিশ যদি কোন অন্যায় করে তাহলে কেবলমাত্র অঞ্চল সভাপতি নয় পুরো অঞ্চল কমিটি থানায় যাবেন। থানা ঘেরাও করবেন। অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে মন্ত্রীর এই উস্কানিমূলক হুঁশিয়ারিতেই কি সাহস পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।হাতে তুলে নিচ্ছা আইন।
জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অজয় গাঙ্গুলী বলেন, কালকে মোথাবাড়ি থানায় এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছে তা যে ঘটবে আমরা জানতাম। রাজ্যের মন্ত্রী সম্প্রতি পুলিশ কে যেভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে পুলিশ কোন কাজ করছে না। পুলিশ নিষ্ক্রিয়। যদি পুলিশ সক্রিয় হয় তাহলে তৃণমূলের একটি নেতৃত্ব বাড়িতে থাকবে না। সবাই জেলে কিংবা থানায় থাকবে। উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলার কারনে হরিশ্চন্দ্রপুরের সিভিক ভলেন্টিয়াররা যে ঘটনা ঘটিয়েছিল সেই মুখ ঘুরানোর জন্য কালকেও অনেক গাড়ি ঘোড়াতে চেকিং হচ্ছিল। বৈধ কাগজপত্র থাকা গাড়িগুলো কেউ চেকিং করা হচ্ছিল আর তারই প্রতিবাদ করেছিল স্থানীয় যুবকেরা। পুলিশ একটা ব্যবস্থা নিতে পারছে না কারণ আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করি। আমরা বিজেপি বলছি পুলিশ সঠিকভাবে কাজ করুন আর না হলে মালদা কিন্তু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊