রং খেলার দুপুরে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু দাদু এবং নাতনির
জলপাইগুড়ি মোহিতনগর চৌরঙ্গি মোড় এর কাছে কৃষ্ণ মোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে । জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধীন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দাদু এবং নাতনিকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জলপাইগুড়ি রাণীনগরের কাছে পাঙ্গা বটতলা এলাকা থেকে চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় দাদুর বাড়িতে নাতনিকে নিয়ে রং খেলবে বলে টোটো চালিয়ে আসার পথে মুখোমুখি গাড়ির ধাক্কায় টোটো দুমড়ে মুচরে যায়।
দাদুর নাম সুকু পাল, বয়স আনুমানিক ৫৫। শিশুটির নাম রাধিকা রায়, বয়স ৩ । গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জলপাইগুড়ি মেডিকেলে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। মাত্র তিন বছর বয়সের এই কিশোরী এবং দাদু দুজনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়।
অভিযোগ চারচাকা একটি পণ্যবাহী গাড়ির সাথে টোটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে উত্তেজিত জনতা বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করে রেখে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বাসিন্দারা। ঘন্টাখানেক পর অবশ্য পথ অবরোধ ওঠে। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘাতক গাড়িটির খোঁজ চালাচ্ছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় রং খেলবে খাওয়া দাওয়া হবে আনন্দ হবে বলে নাতনিকে মেয়ের বাড়ি থেকে দাদু নিয়ে আসছিল নিজেই টোটো চালিয়ে নিজের টোটোতে করে। আর এর পরেই মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা।
অপরদিকে, এরই পাশাপাশি রং খেলার দিনে শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা জুড়েই ছোটখাটো দুর্ঘটনায় আহতরা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। এদিন দুপুর নাগাদ জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধীন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মদ্যপ্য অবস্থায়, দুর্ঘটনা এবং মারপিট সহ বিভিন্ন কারণে আহত চিকিৎসার জন্য ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি ভর্তি বলে বিকেল তিনটে নাগাদ জলপাইগুড়ি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হাসপাতালে কড়া পুলিশি ব্যবস্থার পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসক নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীরাও নিয়োজিত। হাসপাতালের গেটে কড়া পাহারায় রয়েছে হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ডও।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊