আমূল পরিবর্তন প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায়

WB Primary Education: আমূল পরিবর্তন প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থায়, প্রাথমিকেও সেমেস্টার !

রাজ্য এক্সপার্ট কমিটি দ্বারা যে পাঠক্রম তৈরি হয়েছিলো তা পাল্টে যেতে চলেছে। আমূল পরিবর্তন ঘটতে চলেছে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে। প্রাথমিক শিক্ষায় এবার আসছে Credit Base Semester System।


জানুয়ারি থেকে জুন প্রথম সেমিস্টার এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর সেকেন্ড সেমিস্টার হিসাবে পাঠদান হবে। 


পড়ুয়াদের উপর থেকে চাপ কমাতে এবং পড়াশোনায় উৎসাহী করতে চালু হবে ক্রেডিট পয়েন্ট সিস্টেমও (Credit Base Semester System) । শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল।


শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল জানান, এই ব্যবস্থায় থাকবে না কোন খাতায় কলমে পরীক্ষা। স্কুলে উপস্থিত থাকলেই পাবে ক্রেডিট। একটি সেমিস্টার ৪০০ ঘন্টা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে। একটি সেমিস্টারে ১৬.৫ ক্রেডিট পয়েন্ট ।


প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ৮০০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত করতে হবে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ১০০০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত করতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে সিঙ্গল সেমিস্টারে ৩৭৬ ঘণ্টা করে ও তৃতীয় থেকে পঞ্চম সিঙ্গল সেমিস্টারে ৪৬০ ঘণ্টা কাটাতে হবে।


৬০ নাম্বারে হবে খাতা কলমে পরীক্ষা আর বাকি ৪০ নাম্বারে কোন খাতা-কলম থাকবে না। পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করবে পর্ষদ। সেই প্রশ্নেই উত্তর করবে রাজ্যের সমস্ত পড়ুয়া। 


মার্কশীটে নাম্বারের সাথে সাথে এখন থাকবে ক্রেডিট পয়েন্ট। প্রতিটি বিষয়ের অর্জিত ক্রেডিট পয়েন্ট থাকবে মার্কশিটে। 


একইসাথে রাজ্যে তৈরি হবে একটি  আর্কাইভ। সেখানে প্রতিটি ছাত্রের একটি ইউনিক নাম্বার থাকবে। সেই নাম্বারে তোলা থাকবে পড়ুয়ার প্রাপ্ত ক্রেডিট। ফলে এই ক্রেডিট বিবেচ্য হবে সারা দেশেই। 


শুধু স্কুলে থাকলেই নয় বাড়িতে পড়াশুনার কাজ করলেও মিলবে ক্রেডিট পয়েন্ট। অর্থাৎ বাড়ির কাজেও এবার থেকে মিলবে নাম্বার। 

শিক্ষামূলক ভ্রমনের ক্ষেত্রেও থাকবে ক্রেডিট। 


নতুন এই শিক্ষা ব্যবস্থা পুরানো পাঠ্যসূচীর উপরেই চালু হবে। তবে ২০২৬ থেকে নতুন পাঠ্যসূচীতে এই পদ্ধতি চালু হবে। 


নতুন এই শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে খুব দ্রুত রাজ্যের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল ।