Bangladesh: ফের পিছিয়ে গেলো চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর জামিন শুনানি
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর জামিন শুনানি বৃহস্পতিবার হলো না সুপ্রিম কোর্টে। চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষকে জামিনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা থেকে বিরত রাখা হয়। আইনজীবী জামিন নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কট্টরপন্থী আইনজীবী এবং বিচারকের দ্বারা করা উদ্ভট দাবির মোকাবেলা করতে অক্ষম হন তিনি।
আদালতের কাছে আজব দাবি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইসকনের সঙ্গে যুক্ত চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী আদালতে এলে বিচারক তাকে বলেন, এ জন্য চট্টগ্রাম থেকে একজন আইনজীবী প্রয়োজন। এতে বিস্ময় প্রকাশ করে ইসকনের মুখপাত্র রাধারমণ দাস বলেন, এই অদ্ভুত ব্যাপারটি সামনে এসেছে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ তার মামলা লড়ছেন। প্রসিকিউশনের ৪০ থেকে ৫০ জন আইনজীবী চট্টগ্রাম থেকেও একজন আইনজীবী চেয়েছেন। ঘোষ বলেন, আমি চট্টগ্রাম বারে প্র্যাকটিস করি না, সুপ্রিম কোর্ট বারে প্র্যাকটিস করি। আমি একজন বারের সদস্য। তাহলে সারা দেশে এমনটা ঘটতে পারে। এখন আইন লঙ্ঘন হলে আমি কী করব! সব শুনে বিচারক আবারও মামলার শুনানি করেন।
এদিকে ইউনূস সরকার সরকারী আইনজীবী প্রদান করেছে । ইসকনের মুখপাত্র রাধারমন দাস আদালতের কাছে আবার চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন বিচারাধীন থাকার পর সেখানকার আইনজীবীরা চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর মামলা লড়তে অস্বীকার করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর পক্ষে আইনজীবী পাওয়া কঠিন। ইসকনের মুখপাত্র রাধারমন দাস বলেন, ইউনূস সরকারের উচিত চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে সরকারি আইনজীবী দেওয়া।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার হিন্দু মহন্ত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী তার জামিনের শুনানি বাড়ানোর জন্য বৃহস্পতিবার নতুন আবেদন করেছেন। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের আদালত একদিন আগে একই ধরনের একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল।
এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড 16 ডিসেম্বর কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল এতে অংশ নিতে পারে। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধারাও অংশ নিতে পারেন বলে প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, 1971 সালে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন এদেশের সেনারা। 1971 সালের 16 ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের 93,000 সৈন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর সামনে আত্মসমর্পণ করে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম হয়।
১৬ ডিসেম্বর ভারতের জলসীমায় প্রবেশের পর কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়া ৭৮ বাংলাদেশি নাগরিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওড়িশা পুলিশ। পারাদ্বীপের ডেপুটি পুলিশ সুপার সন্তোষ জেনা বলেন, তদন্তে তারা বাংলাদেশি জেলে বলে জানা গেলে ভারতীয় কোস্টগার্ড, ওড়িশা পুলিশের অপরাধ শাখা এবং কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊