‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে বিরোধিতার সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে বিরোধিতার সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মোদির মন্ত্রিসভা ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ অনুমোদন পেয়েছে বলে খবর। আর তারপরেই ফের একবার বিরোধিতায় সরব তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
X হ্যাণ্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি লেখেন, “বিরোধী দলের নেতা এবং বিশেষজ্ঞদের আপত্তি উড়িয়ে স্বৈরাচারী পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার। এক দেশ, এক নির্বাচন শুধু অসাংবিধানিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। বিবেচিত সংস্কার নয়। এটি স্বৈরাচারী পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপ সাংবিধানিক কাঠামোর পরিপন্থী। আমাদের সাংসদরা এক দেশ, এক নির্বাচনে জোরালো প্রতিবাদ করেছেন। বাংলা কখনও একনায়কতন্ত্রী সিদ্ধান্তের কাছে মাথানত করবে না। এটি ভারতের গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্র থেকে রক্ষা করার লড়াই।”
প্রথম থেকেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলি।
‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে অনেকদিন থেকেই ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারেও 'এক দেশ এক নির্বাচন' এর ওপর জোর দেওয়া হয়। এই নিয়ম কার্যকর হলে সারা দেশে একসঙ্গে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ব্যবস্থা চালু করতে অনেকদিন থেকেই ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে এই ব্যবস্থা কতটা বাস্তবসম্মত তা খতিয়ে দেখা হয়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা করেছে সেই কমিটি এমনটাই খবর।
সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে একই সঙ্গে একাধিক দফায় লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট করানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত এবং পুরসভা ভোটের মতো আঞ্চলিক নির্বাচনগুলিও ওই একই সময়ে করানোর কথা বলা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊